কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ এক নেতার
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২১, ১২:০৮ AM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২১, ১২:৪২ AM
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্লাটফর্ম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন কমিটির ঘোষণার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ওই কমিটিতে পদ পাওয়া এক নেতা। তার নাম রহমুতাল্লাহ রবিন নেহাল।
সদ্য ঘোষিত এই কমিটিতে তিনি সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ছিলেন। শনিবার (২৮ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টার দিকে তার ফেসবুক একাউন্টে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরে বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
রহমুতাল্লাহ রবিন নেহাল বলেন, বিগত দুই বছরে কেন্দ্রীয় সকল প্রোগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। আজকে নির্বাচন ছিল তিনটা পদে। সভাপতি, সেক্রেটারি এবং সাংগাঠনিক সম্পাদক। আমাকে পদের বিষয়ে অবগত করা হয়নি। তাছাড়া বড় প্রশ্ন এই কমিটি পূর্বে প্রস্তুত ছিল। লিস্টটা দেখলেই বুঝা যায়। সেখানে আমাদের যাদের পদ দেয়া হয়েছে সেটা অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। যেগুলা আগে থেকিই কম্পিউটারে টাইপিংয়ের মাধ্যমে লেখানো ছিল।
“যারা সভাপতি-সেক্রেটারি হয়েছে তাদেরগুলো হাতে লোখা। এর অর্থ হচ্ছে বাকিগুলো টাইপিংয়ের মাধ্যমে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। আমাকে যে পদে রাখা হয়েছে আমি এর চেয়ে ভালো পদ আশা করি। সেটা না হোক কিন্তু এখানে এমন কিছু ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে যারা মাত্র চার থেকে পাঁচ মাস, অল্প কিছুদিন হলো সংগঠনে আসছে।”
তিনি আরও বলেন, রুদ্র মুহাম্মদ জিহান নামে একটা ছেলে আছে, আরো কিছু আছে, জারিফ নামে একজন আছে, যে বিতর্কমূলক কর্মকান্ডের কারণে এর আগে একবার বহিস্কৃত হয়েছিল। তারপরও আবার তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। প্রেরণা পারমিতা নামে যে পদ দেয়া হয়েছে সেটা হচ্ছে একটা ফেসবুক আইডির ফেক নাম।
এদিকে, নেহাল তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “সর্বপ্রথম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বাবা মা ও নিজের কাছে। এরপর ক্ষমা চাচ্ছি যে সকল সাহসী তরুণদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলাম তাদের কাছে। আমি কাউন্সিলে কোন প্রার্থী ছিলাম না, এবং আমাকে কেন্দ্রীয় যে পদে পদায়িত করা হয়েছে তা আমার অজান্তে করা হয়েছে তাই আমি উক্ত পদ থেকে অব্যহতি ঘোষণা করছি। বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে শিঘ্রই।”
এ বিষয়ে সংগঠনটির উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটা হতে পারে। একটা সংগঠনে তো সবাইকে খুশি করে পদে রাখা সম্ভব না। দুয়েকজনতো রাগে, ক্ষোভে, অভিমানে ফেসবুক পোস্ট দিতেই পারে। সেটা আমাদের মুখ্য বিবেচ্য বিষয় নয়। সাংগাঠনিক সিদ্ধান্ত না মানলে আমাদের কিছু করার নাই।
এর আগে দুপুর ২টায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় রাজধানীর বিজয়নগরে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে রাত ১০টায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং আরিফুল ইসলাম আদীব। সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোল্যা রহমতুল্লাহ।
এ বিষয়ে নুর বলেন, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তিনজনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। ৩৮ জনকে মনোনীত করে ৪১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া গত কমিটির পাঁচ সদস্যকে এই কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে। তারা নতুন নেতৃত্বকে পথনির্দেশনা দেবেন।