অভিযোগ প্রমাণ হলে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ শেখ হাসিনার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৯, ০৬:০৪ PM , আপডেট: ১৫ মে ২০১৯, ০৭:০১ PM
ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাই পাওয়া বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বাদ দেয়া পদধারীদের স্থলে আন্দোলনকারীদের স্থলাভিষিক্ত করার কথাও বলেন। বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ডেকে সংগঠনের অভিভাবক হিসাবে এ নির্দেশ দিয়েছেন। বৈঠক শেষে ছাত্রলীগ সম্পাদক রাব্বানী উপস্থিত সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
একটি সূত্র জানায়, গণভবনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে ১০-১২জন নেতাকে চিহ্নিত করে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। বাকিদের মধ্যেও যারা বিতর্কিত এবং তা প্রমাণিত হলে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বৈঠকে শোভন-রাব্বানী ছাড়াও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, উপ-দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে ঘোষিত কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি বাতিল এবং মধুর ক্যান্টিনে সংগঠনের নারী নেত্রীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিতরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের উপর হামলাকে ছোট ঘটনা বলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের কড়া সমালোচনা করেন হামলার শিকার নেত্রীরা।
দুই বছর মেয়াদী কমিটির প্রায় ১১ মাস পর পূর্ণাঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। সোমবার পূর্ণাঙ্গ তালিকা ঘোষণা আগে ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যদের সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন। গত বছরের ১১ মে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের পর কমিটি ঘোষণার নিয়ম থাকলেও শীর্ষ পদের নেতৃত্ব বাছাইয়ে সময় নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই সংগঠনটির শীর্ষ দুই নেতার নাম প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু সোমবার বিকালে কমিটি ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছে তীব্র বাদ-প্রতিবাদ। স্বজনপ্রীতি, চাকরিজীবী, নিষ্ক্রিয়, বিবাহিত, অছাত্র, মাদক মামলার আসামি, হত্যা মামলার আসামিসহ বিতর্কিতরা স্থান পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে এই কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ বঞ্চিতরা বিক্ষোভ করলে তাদের মারধর করা হয়। আহতের অধিকাংশই নারী নেত্রী।