স্বাধীন বাংলাদেশে ৭ ডাকসুর ৬টিতে অংশ নিয়েছে ছাত্রশিবির, জয় পেয়েছে কতটি?
- আলামিন ইভান
- প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৫৬ PM , আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৪:০১ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির ৪৮ বছরের ইতিহাসে এতটা প্রকাশ্য ও স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর সুযোগ তারা আর কখনও পায়নি। আওয়ামী লীগের প্রায় দেড় দশকের শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিবিরের রাজনৈতিক কর্মসূচি চালানো ছিল কার্যত অসম্ভব। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও তারা অংশি নিতে পারেনি। বর্তমানে পরিস্থিতির পরিবর্তনে ছাত্রশিবির নতুন করে অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। সূত্রের তথ্য, স্বাধীন বাংলাদেশের ৭ ডাকসুর মধ্যে ৬টিতে অংশ নিয়েছে ছাত্রশিবির; এর মধ্যে মাত্র একটি পদে জয় পায় দলটি। তবে হল সংসদ নির্বাচনের কয়েকটি পদে দলটির পক্ষে দাঁড়ানো বেশ কিছু প্রার্থী জয় পেয়েছে বলে জানা গেছে।
দীর্ঘ বিরতির পর আবার ডাকসু
দীর্ঘ ছয় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ঘিরে আবারও ক্যাম্পাসে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। দীর্ঘদিন পর ডাকসু নির্বাচনের ঘোষণা আসায় ছাত্ররাজনীতিতে একধরনের নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে। গঠন করা হয়েছে প্রায় নয়টি প্যানেল। ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে প্রচারণা। প্রার্থীরা নিজেদের ইশতেহার নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ভোট চাচ্ছেন নিজের প্যানেলের প্রার্থীদের জন্য।
জুলাই মাসে সংঘটিত অভ্যুত্থানের পর দেশের সামগ্রিক রাজনীতিতে যে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে, তার সরাসরি প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরে কোণঠাসা বা নিষ্ক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোও সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী ময়দানে ফিরছে। ফলে এবারের ডাকসু নির্বাচন শুধু ছাত্ররাজনীতির জন্য নয়, বরং বৃহত্তর জাতীয় রাজনীতির দিকনির্দেশক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির
পুরনো জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ইসলামী ছাত্রশিবির ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮১, ১৯৮২, ১৯৮৯ এবং ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। ১৯৭৯ সালে ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে সহ-সভাপতি পদে আবু তাহের এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল কাদের বাচ্চু নির্বাচনে অংশ নেন। ১৯৮০ সালের নির্বাচনে শিবিরের তাহের-কাদের পরিষদ ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং বেশ বড়সড় প্রচারণাও চালায়। ১৯৮১ সালে এনাম-কাদের পরিষদেও অংশ নেয় ছাত্রশিবির। এই সালে শিবিরের একজন কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির থেকে ভিপি পদে এনামুল হক মঞ্জু এবং জিএস পদে আব্দুল কাদের বাচ্চু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই সময় শিবিরের একটি নির্বাচনী মিছিলে গ্রেনেড হামলার ঘটনাও ঘটে, যাতে অন্তত ২২ জন আহত হন। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রশিবির।
‘১৯৮১ সালে কেন্দ্রীয় সংসদে অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র আবুল আহসান মো. হাবিবুর রহমান শিবিরের প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় সংসদে কার্যনির্বাহী পদে জয় পান। সে সময় হল সংসদে শিবিরের অনেক প্রার্থী জয় পেয়েছিলেন। এর মধ্যে মুহসীন হলে ৪টা সম্পাদক পদে, এস এম হলে সাহিত্য সম্পাদক পদে ওমর ফরুকসহ বেশ কয়েকজন জয় পান। জসিমউদ্দিন হল, স্যার এএফ রহমান হল, শহীদুল্লাহ হলসহ অন্যান্য হলেও আমাদের অনেকজন জয় লাভ করেন।’— আব্দুস সাদিক ভূঁইয়া, ১৯৮০ সালে ছাত্রশিবির প্যানেল থেকে নির্বাচনকারী
এছাড়া ১৯৮৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে শামসু-আমিন পরিষদ নামে একটি প্যানেল নিয়ে ছাত্রশিবির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ভিপি হিসেবে শামসুল ইসলাম ও জিএস আমিনুল ইসলাম এই প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন। সে সময় ডাকসু নির্বাচনে ৭টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের পক্ষ থেকে ভিপি হিসেবে মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও জিএস পদে মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান এবং এজিএস শফিকুল আলম হেলাল মনোনয়নপত্র জমা দেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়নি ছাত্রশিবির।
ডাকসুতে জয় পেয়েছিল ছাত্রশিবির?
ডাকসুতে অংশগ্রহণ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের তথ্য মতে, সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নিয়মিতভাবে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ১৯৭৭ সালে ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দুই বছর পর ১৯৭৯ সালে শিবির প্রথমবারের মতো ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়। এরপর অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থী দেয় সংগঠনটি। তবে শুরুতে সংগঠনটির জনপ্রিয়তা ও কার্যকরী উপস্থিতি সীমিত থাকায় কোনো নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি।
নেতারা জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিবিরের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮০ কেন্দ্রীয়ভাবে কোন পদে নির্বাচিত না হলেও হল সংসদে কয়েকটা হলে ও ১৯৮১ সালে ডাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে শিবিরের প্যানেল থেকে একজন নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় ডাকসু হল সংসদেও অনেকগুলো পদে শিবির থেকে জয়লাভ করে। এছাড়া ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে তারা তৃতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়।
সংগঠনটির নেতাদের দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের ভোট গড়ে ১২০০ থেকে ১৩০০ ছিল। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়নি সংগঠনটি এবং হল সংসদে শিবিরের অনেকজন নির্বাচিত হয়।
২০২৫-এ ছাত্রশিবির ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ নামে প্যানেল ঘোষণা করেছে। এতে সাদিক কায়েম ভিপি ও এস এম ফরহাদকে জিএস করে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। এছাড়াও সংগঠনটির প্যানেলে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন ইনকিলাব মঞ্চ থেকে যুক্ত হয়েছেন ফাতিমা তাসনীম জুমা।
ছাত্রশিবির থেকে ডাকসুতে ১৯৮০ সালে তাহের-কাদের পরিষদে কার্যনির্বাহী সদস্য এবং ১৯৮১ সালে সমাজসেবা সম্পাদক পদে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুস সাদিক ভূঁইয়া। তিনি ১৯৮২ সালে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। আব্দুস সাদিক ভূঁইয়া বলেন, প্রায় ৪৫ বছর আগের কথা। আমি তখন মাস্টর্সের শিক্ষার্থী। আমি ডাকসুতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে ১৯৮০ সালে সদস্য পদে ও ১৯৮১ সালে সমাজসেবা সম্পাদক পদে নির্বাচন করি। যতটুকু মনে পড়ে, ১৯৮১ সালের আগে ডাকসুতে কেন্দ্রীয় সংসদে কেউ জয় লাভ করেনি। তবে হল সংসদে আমাদের অনেক প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিল। শুধু ১৯৮১ সালে শিবিরের প্যানেল থেকে একজন কেন্দ্রীয় সংসদে কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা মে-জুনে, হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে
তিনি বলেন, ‘১৯৮১ সালে কেন্দ্রীয় সংসদে অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র আবুল আহসান মো. হাবিবুর রহমান শিবিরের প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় সংসদে কার্যনির্বাহী পদে জয় পান। সে সময় ১৯৮০ কি... ১৯৮১ সালের ডাকসুর হল সংসদে শিবিরের অনেক প্রার্থী জয় পেয়েছিলেন। তার মধ্যে শিবিরের প্যানেল থেকে মহসিন হলে ৪টা সম্পাদক পদে, এস এম হলে সাহিত্য সম্পাদক পদে ওমর ফরুক ভাইসহ বেশ কয়েকজন জয় পান। জসিমউদ্দিন হলে স্যার এএফ রহমান হল, শহীদুল্লাহ হলসহ অন্যান্য হলেও আমাদের অনেকে জয় লাভ করেন।’
২০২৫ সালের ডাকসুতে ছাত্রশিবিরের প্যানেল
আসন্ন ২০২৫ ডাকসুতে ছাত্রশিবির ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ নামে প্যানেল ঘোষণা করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম ভিপি ও বর্তমান সভাপতি এস এম ফরহাদকে জিএস করে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। এছাড়াও সংগঠনটির প্যানেলে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন ইনকিলাব মঞ্চ থেকে যুক্ত হয়েছেন ফাতিমা তাসনীম জুমা।
প্যানেলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে রয়েছেন ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন খান জসীম, যিনি গত বছরের জুলাইয়ে চোখ হারান। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রয়েছেন নুরুল ইসলাম সাব্বির, যিনি বর্তমানে ঢাবি শিবিরের অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ক্রীড়া সম্পাদক পদে আছেন আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে আসিফ আব্দুল্লাহ, আর সমাজসেবা সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন শরিফুল ইসলাম মুয়াজ।
সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন ঢাবির মাস্টারদা সূর্য সেন হলে। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি শহরের বাজার এলাকায়। ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের এবং কবি জসিম উদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ফরহাদ ২০২২-২৩ সেশনে জসীম উদ্দিন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া এস এম ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পূর্ণ প্যানেল জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছাত্রশিবির সভাপতি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নব্বয়ের দশকে ছাত্রশিবিরের প্যানেল ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। যতটুকু জানি তখন ডাকসুতে জয়ী হয়নি, তবে হল সংসদ নির্বাচনে কয়েকটি পদে জয়ী হয়েছিল। এবারের ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জয়ী হওয়ার ব্যাপারে সবাইতো আশাবাদী হয়ে থাকেন। তবে আমরা এবার ইনক্লুসিভ প্যানেল দেওয়াতে সবাই আশা করি তাদেরকে বেছে নেবেন।
ছাত্রশিবির সভাপতি আরও বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমরা ৫ আগস্টের পর ১ বছর ধরে শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করছি। তারাও ভালো সাড়া দিচ্ছেন। তাছাড়া প্রার্থী হওয়া সবাই তাদের স্ব স্ব পদের বিপরীতে ভালো অবদান রাখছেন। একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু ভোট হলে পূর্ণ প্যানেল জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বির্তকের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ২০২৫ সালে যদি কেউ বির্তক করে থাকলে তাহলে রাজনৈতিক বিভাজন ছাড়া আর কিছু নয় বলে মনে করি। এখানে যারা প্রার্থী তাদের জন্ম ১৯৯৫ সাল কিংবা ২০০০ সালের দিকে। এখন তারা কিভাবে ১৯৭১ সালে ভূমিকা রাখবে। এটা একটি ইস্যু বিভাজন তৈরি করা ছাড়া আর কিছু না এবং একইসঙ্গে হাস্যকরও।