ফজিলাতুন্নেছা হলে ছাত্রদল আচরণবিধি ভঙ্গ করলেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪৯ AM , আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৪৮ PM
ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই ক্যাম্পাসে নির্বাচনমুখী পরিবেশ তৈরি হলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এছাড়া সোমবার (১৮ আগস্ট) সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা ও প্রত্যাশার ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং তফসিল-পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসে ডাকসু নির্বাচনের আমেজ লক্ষ্যনীয়। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা উৎসাহের সাথে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছে। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি, নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ যা কিনা বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা প্রদান করে। আমরা এধরণের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই।”
ফজিলাতুন্নেছা হলে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেন। এতে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানায়। এখানেও আচরণবিধি ভঙ্গ হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বরং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের এই প্রতিরোধকে 'মব' হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, যেটিকে আমরা গণতান্ত্রিক অধিকারের হরণ হিসেবে দেখি।
এছাড়াও জসিমউদ্দিন হলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর বারীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বলা হয়, মনোনয়ন সংগ্রহের ক্ষেত্রে আচরণবিধিতে স্পষ্টভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তানভীর বারী মিছিল ও স্লোগানের মাধ্যমে হলে প্রবেশ করেছেন, যা আচরণবিধির ২ (ক) এবং ১৭ (খ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রশ্ন তৈরি করে।
সংবাদ সম্মেলনে মনোনয়নপত্র উত্তোলনের সময় একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও সমালোচনা করে বলা হয়, যথেষ্ট সময় থাকার পরেও শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে, যা পূর্বে ফজিলাতুন্নেছা হলে করা নিয়মভঙ্গকে উৎসাহিত ও বৈধতা দিয়েছে। এর ফলে ডাকসু নির্বাচনের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এটিকে ডাকসু বিলম্বিত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখে।
সংগঠনটি অভিযোগ করে, আজ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে ডাকসুর ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই। আমরা এটিকে ডাকসু নির্বাচন বানচালের কৌশল হিসেবে দেখি। এই বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা প্রকৃত অর্থে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকেই নষ্ট করছে।’