ডাকসুর প্রার্থী সর্ব মিত্র চাকমা
‘নেতা’ হয়ে সুপিরিয়রিটি চর্চার ইচ্ছা নেই, বড়জোড় হাজার কণ্ঠের এক কণ্ঠ হয়ে উঠতে চাই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪:২৯ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১০ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এতে সদস্য পদে লড়বেন ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সর্ব মিত্র চাকমা। সোমবার (১৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-২৫ নির্বাচনে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ হতে কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার চোখে একটি রাষ্ট্রের ভেতর আরেক রাষ্ট্র, যেখানে অর্ধ লক্ষের অধিক শিক্ষার্থী স্রেফ কোনো একভাবে দিনযাপন করে। না আছে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, পুরো ক্যাম্পাস হন্যে হয়ে খুঁজেও একবেলা মানসম্মত-স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পাওয়া দুষ্কর, রয়েছে আবাসন সংকট, নেই গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত উপকরণাদি, চলছে স্বাস্থ্য বিমার নামে প্রহসন, অতঃপর চিকিৎসার অভাবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু ইত্যাদি। ____ পদে পদে অবহেলা-বঞ্চনা আর একরাশ হতাশা।
তিনি আরও লেখেন, কিন্তু, এত শত অবহেলায় টিকে থাকা এই মানুষগুলোর মধ্যে আছে এক বিশেষ লুকায়িত শক্তি, যা রাষ্ট্রযন্ত্রকে সদা উদ্বিগ্ন রাখে। এই মানুষগুলো যে-কোনো সময় রাষ্ট্রের ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার সক্ষমতা রাখে। তার বড়ো এবং ঘনিষ্ঠ উদাহরণ হলো জুলাই গণ অভ্যুত্থান। সেই শঙ্কা থেকে এই মানুষগুলোকে দমিয়ে রাখার যত আয়োজন, তা রাষ্ট্রযন্ত্র করে। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী ৫৪ বছরে ডাকসু অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র ৮ বার, যেখানে নির্বাচন হবার কথা ছিল প্রতি বছর।
প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তিনি লেখেন, আমি সর্ব মিত্র , সমাজে প্রচলিত তথাকথিত ‘নেতা’ হয়ে সুপেরিয়রিটি চর্চার প্রয়াস বা বাসনা আমার নেই। এখানে যারা আসেন, সকলে নিঃসন্দেহে দেশসেরা মেধাবী, লক্ষ লক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে লড়াই শেষে বিজয় ছিনিয়ে এ জায়গায় আসেন তারা, তাদের ওপর কর্তৃত্ব দেখানোর দুঃসাহস আমি ঘুণাক্ষরেও করি না।
তিনি আরও লেখেন, আপনাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন পেলে আমি বড়োজোর আপনাদের প্রতিনিধি হয়ে হাজার কণ্ঠের এক কণ্ঠ হয়ে উঠতে চাই। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার, নারীর অধিকার, আদিবাসী-সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে আমার কণ্ঠ সর্বদা সোচ্চার ছিল এবং আমৃত্যু সকল অন্যায়-অবিচার-অনিয়ম-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান অবিচল থাকবে।আমার বিশ্বাস, আমার স্বাতন্ত্র্য, সৎসাহসের সাথে আপনাদের ভালোবাসা আমাকে উজ্জীবিত রাখবে। আমাদের সংগ্রাম জারি থাকবে!