জুলাই-আগস্টে রচিত হয়েছে আত্মত্যাগের অধ্যায়: শাবিপ্রবি ছাত্রদল সভাপতি
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৬ AM , আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৪ PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান বলেছেন, ‘জুলাই ও আগস্ট দুটি মাস ক্যালেন্ডারের পাতার কিছু দিন নয়, এ সময় বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসে রচিত হয়েছে সবচেয়ে সাহসী ও আত্মত্যাগের অধ্যায়। এ মাসগুলোয় গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে বহু সাহসী ছাত্র, যুবক, নাগরিক শহিদ হয়েছিলেন। শুধু একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও স্বপ্নময় বাংলাদেশের আশায়।’
জুলাই আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ছাত্রদলের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি বিল্ডিংয়ে’ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়।
রাহাত জামান বলেন, ‘আমরা তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি, যারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে, স্বাধিকার আন্দোলনের অগ্নিপথে। তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের শুধু কাঁদায় না, আমাদের জাগায়, অনুপ্রাণিত করে।’
আরও পড়ুন: প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা রাজপথ দখলে না নিলে ইতিহাস ভিন্ন হতে পারত: নাছির
তিনি আরও বলেন, ‘আজ যখন দেশে বিচারব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ, গণতন্ত্রের শিকড় উপড়ে ফেলা হচ্ছে, ঠিক তখনই শহিদদের স্বপ্ন ও ত্যাগ আমাদের নতুন করে প্রতিবাদের শক্তি জোগায়। আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ শহীদদের রক্তঋণ ভুলে যাইনি, ভুলব না। আমরা শপথ করি, তাঁদের অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণে একটি মুক্ত, স্বনির্ভর, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।’
সাধারণ সম্পাদকের নাঈম সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ছিল জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি আত্মত্যাগ করা ছাত্রসংগঠন। গণতন্ত্র, ন্যায্য অধিকার ও শিক্ষাঙ্গনের স্বাধীনতার জন্য আমরা রাজপথে বুক চিতিয়ে লড়েছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এ ক্যাম্পাসেই সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছে ছাত্রদল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে ন্যায়ের জন্য আমরা আন্দোলন করেছিলাম, সে ন্যায্যতা আমাদের দেওয়া হয়নি। আমরা এখনো এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মুক্তভাবে কথা বলতে পারি না। মুক্তভাবে রাজনীতি করার সাংবিধানিক অধিকার আমাদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।’