৭০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
সেই অধ্যাপকের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪২ PM , আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৯ PM

জুলাই আন্দোলনে তিতুমীর কলেজের ৭০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী অধ্যাপক মালেকা আক্তার বানুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে তার নিয়োগ বাতিল না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি বায়জিদুর রহমান সিয়াম বলেন, স্বৈরাচারের পদলেহনকারী এমন একজন শিক্ষক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে পদ রাখার সাহস পায় কীভাবে, আমরা অবাক! ১৪০০ ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ কোনোদিন চাপা থাকবে না। আমরা তার নিয়োগ বাতিল না হলে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেব এবং তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রস্তুতি নেব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, যারা তার গায়ে আঘাত তো দূরের কথা, নামটাও নেয়নি — তাদের নামে মামলা দিয়ে এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পা রাখতে চায়? এই মাটি স্বৈরাচার ও দালালদের চিনে। রাজপথে এর জবাব আসবে।
জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সমির চক্রবর্তী বলেন, যে শিক্ষক সরকারের খুশির জন্য ৭০০ ছাত্রের জীবন ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, তাকে পুরস্কৃত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো চরম অবিচার। আমরা তাকে এই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে মানি না এবং বরখাস্তের দাবি জানাই। অন্যথায় রাজপথে তীব্র আন্দোলন হবে।
জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি হাসান মাহমুদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ন্যায্য দাবি তুলে ধরা হয়েছিল। অথচ সেই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর মামলা দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করে অধ্যাপক মালেকা। তার পদোন্নতি শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি। আমরা অবিলম্বে তার পদোন্নতি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, যারা তার গায়ে আঘাত তো দূরের কথা, নামটাও নেয়নি — তাদের নামে মামলা দিয়ে এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পা রাখতে চায়? এই মাটি স্বৈরাচার ও দালালদের চিনে। রাজপথে এর জবাব আসবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ জুলাই সরকারি তিতুমীর কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মালেকা আক্তার বানু বাদী হয়ে বনানী থানায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কলেজ ভাঙচুরের মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০-৭০০ জনকে আসামি করা হয়।