প্রধান উপদেষ্টার বিবৃতির শেষ দুই প্যারা নিয়ে বিএনপিতে অসন্তোষ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ০৯:৩৫ PM , আপডেট: ২৫ মে ২০২৫, ০২:২৬ PM

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যখন এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে, তখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইস্যুটি। এ নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। এদিকে, আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভার পর উপদেষ্টা পরিষদের ‘অনির্ধারিত বৈঠক’ হয়। বৈঠক শেষে সার্বিক পরিস্থিতি রিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বিবৃতিতে দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে সেগুলোর কারণ সরকার জনসমক্ষে উপস্থাপন করবে বলে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। তবে আলোচনায় এসেছে এর শেষ দুই প্যারা। সেখানকার বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তারা।
তেমনই এক পোস্টে একজন লিখেন, ‘পাটোয়ারি, শফিকুল আলম আর দুর্নীতিবাজ বেয়াদব মিলে যখন কোন প্রেস বিজ্ঞপ্তি লেখে! শেষের লাইনের দৃষ্টতা ভাবছি। লাস্ট টাইম হাসিনা এমন ‘জনগণ’ কে সাথে নিয়ে এটা সেটা করার হুমকি দিতো।’
তবে বিবৃতিটিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে ফেসবুক একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি লিখেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে শেষের দুই অনুচ্ছেদ। এ বিষয়ে আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’
ওই দুই প্যারায় লেখা হয় ‘শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের উপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’