পাঠ্যপুস্তকে 'জুলাই বিপ্লব' অন্তর্ভুক্তির দাবি 'জুলাই ঐক্য'র
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ০২:০১ PM , আপডেট: ১৪ মে ২০২৫, ০৩:৫৪ AM
দেশের গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ফ্যাসিস্টদের প্রভাবমুক্ত করার জন্য পাঠ্যপুস্তকে 'জুলাই বিপ্লব' অন্তর্ভুক্ত, সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রামাণ্যচিত্র প্রতিদিন প্রচার, বিগত ১৬ বছরে সংঘটিত গণহত্যা ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করারসহ বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেছে 'জুলাই ঐক্য'।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় 'জুলাই ঐক্য'।
লিখিত বক্তব্যে 'জুলাই ঐক্য'র অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, "ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশ এবং নির্বাচন কমিশন থেকে দলটির নিবন্ধন স্থগিত করার মাধ্যমে ইন্টারিম সরকার একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছে—এটি আমরা স্বাগত জানাই। তবে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, ছাত্র-জনতার মূল দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করা এবং নিবন্ধন সম্পূর্ণ বাতিল করা। শুধুমাত্র সাময়িক স্থগিতাদেশ সেই দাবির পূর্ণ প্রতিফলন নয়।"
এ সময় 'জুলাই ঐক্য' বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছে। দাবিগুলো হলো- দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করে আওয়ামী লীগকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে, দলটির নিবন্ধন চিরতরে বাতিল করতে হবে—শুধু স্থগিত রাখা যথেষ্ট নয়, আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠন (রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক) নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং বিগত সাড়ে পনেরো বছরের দুঃশাসনের সহযাত্রী হিসেবে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে, এ রাজনৈতিক শক্তিগুলো দায়মুক্তি পেতে পারে না।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনায় ঢাবি প্রশাসন
মোসাদ্দেক আলী আরও জানান, "ইন্টারিম সরকারের দেওয়া ওয়াদার ভিত্তিতে আমরা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র অবিলম্বে—৩০ কর্মদিবসের মধ্যে—প্রকাশের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে 'জুলাই ঐক্য' কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সকল দাবি আদায়ের পথে এগিয়ে যাবে।"
সংবাদ সম্মেলনে 'জুলাই ঐক্য' তাদের পরবর্তী কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে। সেগুলো হলো- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিচারের অগ্রগতির বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত আলোচনা, সচিবালয়ের অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রমাণসহ তালিকা প্রকাশ এবং তা প্রধান উপদেষ্টা ও জনপ্রশাসন সচিবের কাছে হস্তান্তর।