সোহেলের ঝুলে যাওয়া ভাঙা পায়ে আবার লাঠির আঘাত ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু লিখবি?’

সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের  হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো: সোহেল
সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের  হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো: সোহেল  © সম্পাদিত

জুলাই গণঅভুত্থানে সারা দেশে সংঘাত–সহিংসতায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। সরকার গঠিত কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ছাত্র-জনতা এ আন্দোলনে আহতরা অসহ্য যন্ত্রণা আর দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দিনযাপন করছেন। কেউ হাত হারিয়েছে আবার কেউ তার পা হারিয়েছে। আবার কারো চিরতরে চোখের আলো নিভে গিয়েছে। এমনি একজন সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের  হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো: সোহেল। 

আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্যাতনে ভেঙে গিয়েছে তার পা। ভাঙা পা নিয়ে ঠিকভাবে নিতে পারেননি চিকিৎসা। পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। কেমন যাচ্ছে এ শিক্ষার্থীর জীবন? তার সাথে কথা বলেছেন সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস প্রতিনিধি অপূর্ব চক্রবর্তী। 

আমি (সোহেল) চিৎকার করে বলছিলাম আমার পা ভেঙে গেছে আমায় মেরো না। কিন্তু পা ভাঙার কথা শোনার পরেই সেই পায়েই আঘাত করছিল আর বলছিল, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আর কিছু বলবি? ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আর কিছু বলবি? 

এভাবেই ১৮ জুলাইয়ের ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল। 

সোহেল বলেন, ঘটনার সূত্রপাত, ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ এ সকাল ১১টার দিকে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তখন মিরপুর-১০ চত্বরে অবস্থান নিয়েছে। এদিকে আমার কলেজের বন্ধুরা মিরপুর-১১ তে অবস্থান নিয়েছে। তারা ফোন করে জোড়ালো ভাবে বললো মিরপুর-১১ তে যেতে। পথ্যিমধ্যে আমি লক্ষ করি ছাত্র জনতার এক বিশাল দল মিরপুর-১০ এর দিকে যাচ্ছে। তখন আমি আবার আমার বন্ধুদের জানাই তারা যেন মিরপুর-১০ এ চলে আসে। ছাত্র জনতার এই বিশাল স্রোতের সামনে টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কিছুসময়ের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের থেকে মিরপুর-১০ কে নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় ছাত্রজনতা। 

65137775-413d-4220-b7f3-5020062fe0b2

পুলিশ-ছাত্র মুখোমুখি উল্লেখ করে সোহেল বলেন, মিরপুর-২ এর দিকে অবস্থান করছিল পুলিশ বাহিনী। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি বিশাল দল মিরপুর-২ থেকে ছাত্র জনতা তথা মিরপুর-১০ নম্বরের দিকে এগোচ্ছে।

ছাত্ররা যখন এগিয়ে যাবে ঠিক সে মুহূর্তে পুলিশি আগ্রাসনের মুখে পড়ে তারা। পুলিশ ছাত্রদের লক্ষ্য করে একের পর এক টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকে। সেখানে এত পরিমাণ ছাত্রের উপস্থিতি ছিল যে পুলিশি কায়েদার ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করবার চেষ্টা করলেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল। 

ছাত্ররা যখন এগিয়ে যাবে ঠিক সে মুহূর্তে পুলিশি আগ্রাসনের মুখে পড়ে তারা। পুলিশ ছাত্রদের লক্ষ্য করে একের পর এক টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকে। সেখানে এত পরিমাণ ছাত্রের উপস্থিতি ছিল যে পুলিশি কায়েদার ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করবার চেষ্টা করলেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল। 

আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এভাবেই চলতে থাকে পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সেখান থেকে ছাত্র জনতাকে সরাতে পুলিশ আরও কঠোর হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ছাত্রদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও ছররা গুলি নিক্ষেপ শুরু করে। তখন ছাত্ররা পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়। 

এক খণ্ড বড় ইটের টুকরো এসে লাগে আমার ঠোঁটে। ঠোঁট ফেটে শুরু হয় অঝোর ধারায় রক্তক্ষরণ। এর কিছুসময় পরেই একটি বড় ইটের টুকরো এসে লাগে আমার বাম পায়ে।

ছাত্রদের উপরে ছাত্রলীগের হামলা শুরু হয় উল্লেখ করে এ শিক্ষার্থী বলেন, যখন পিছু হেঁটে মিরপুর-১১ এর দিকে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে ছাত্ররা তখন সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। তারা সেখানে ছাত্রদের উপর দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে থাকে। এদিকে হঠাৎ দুদিকের আক্রমণে ছাত্ররা দিশেহারা হারা হয়ে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন মাদার এন্ড চাইল্ড হসপিটালের গলিতে। অতিরিক্ত মানুষের কারণে অল্প কিছু সময়েই সে গলি পূর্ণ হয়ে যায় ,আমি দুর্ভাগ্যবশত পুরোপুরি সেই গলিতে ঢুকতে ব্যর্থ হই। 

বাঁশ ও লাঠি দিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাকে আঘাত করতে থাকে। আমি চিৎকার করে বলছিলাম আমার পা ভেঙে গেছে আমাকে আর মেরো না। কিন্তু পা ভাঙার কথা শোনার পরেই সেই পায়েই আঘাত করছিল আর বলছিল, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আর কিছু বলবি?

আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সেই গলিতে হামলা শুরু করে উল্লেখ করে এ শিক্ষার্থী বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সেই গলিতে হামলা ইট-পাটকেল নিক্ষেপও শুরু করে।  এসময়ে পেছনে ফিরে দেখি হেলমেট পরিহিত আমাদেরই মতন রক্ত মাংসে গড়া একজন মানুষ ছাত্রদের উপর বাঁশ দিয়ে পায়ে আঘাত করেছেন। খানিকপরেই এক খণ্ড বড় ইটের টুকরো এসে লাগে আমার ঠোঁটে। ঠোঁট ফেটে শুরু হয় অঝোর ধারায় রক্তক্ষরণ। এর কিছুসময় পরেই একটি বড় ইটের টুকরো এসে লাগে আমার বাম পায়ে। তখনও নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি। গলির ভেতরে মানুষের চাপ কমলে যখন সবাই বের হওয়ার চেষ্টা করছে তখন আমি লক্ষ্য করলাম আমার পা ঝুলে গেছে। আমি সামনে এগুতে পারছি না, তার আগেই পড়ে যাচ্ছি। ছাত্ররা এগিয়ে যায় আমি একাই পড়ে থাকি।

আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ৭০০, আহত ১৯ হাজার

আমাকে একা পেয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আবার হামলা করে। সেই ভয়ার্ত স্মৃতি উল্লেখ করে সোহেল বলেন,  বাঁশ ও লাঠি দিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাকে আঘাত করতে থাকে। আমি চিৎকার করে বলছিলাম আমার পা ভেঙে গেছে আমাকে আর মেরো না। কিন্তু পা ভাঙার কথা শোনার পরেই সেই পায়েই আঘাত করছিল আর বলছিল, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আর কিছু বলবি? ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আর কিছু বলবি? আমাকে ততক্ষণ পর্যন্ত আঘাত করতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্য ছাত্ররা এসে তাদের ধাওয়া দেয়। যখন তারা আমাকে ফেলে চলে যায়, আমি তখন ছাত্রদের বলি আমার পা ভেঙে গেছে আমাকে একটু হাসপাতালে নিয়ে যাও। তখন কিছু ছাত্র আমাকে উদ্ধার করে আলোকের মাউন্ট এন্ড চাইল্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

New Project (44)

হাসপাতালে ডাক্তাররা জানাল চিকিৎসা দেওয়া যাবে না। সে পরিস্থিতি উল্লেখ করে সোহেল বলছেন, তখন আমার জ্ঞান ছিল, দেখছিলাম আমার পুরো শরীর ক্ষত বিক্ষত হয়ে আছে। আমি এক ছাত্র ভাইকে কাছে ডেকে বললাম, আমার পকেট থেকে মোবাইল ফোনটি বের করে আমার বন্ধুকে একটি কল দিতে। সে খানেক চেষ্টা করে জানালো আমার বন্ধু ফোন ধরছে না। বন্ধু ফোন ধরবেই বা কীভাবে? কারণ সেও তো ঘাড়ে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত শুয়ে আছে আমার পাশের বেডেই। বন্ধুর এই অবস্থা দেখে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়লাম। একটু পর ডাক্তার এসে জানালেন তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া যাবে না। পাশের আজমল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন।

চিকিৎসা শেষে আজমল হাসপাতালের দায়িত্বরত একজন চিকিৎসক বললেন, আমাকে হাসপাতালে রাখা ঠিক হবে না। রাতে পুলিশের চেক হতে পারে। 

নতুন হাসপাতালে গিয়েও পরিপূর্ণ চিকিৎসা নিতে পারিনি। সোহেল বলেন,  আজমল হাসপাতালে যাওয়ার পথে যাকে আমি মোবাইল ফোনটি দিয়েছিলাম তাকে এবং আমার মোবাইলটি হারিয়ে ফেলি। তখন বাধ্য হয়ে পরিবারকে জানাই। সে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ হওয়ার পূর্বেই আমার মা, আপু এবং দুলাভাই এসে উপস্থিত হন। চিকিৎসা শেষে আজমল হাসপাতালের দায়িত্বরত একজন চিকিৎসক বললেন, আমাকে হাসপাতালে রাখা ঠিক হবে না। রাতে পুলিশের চেক হতে পারে। 

আরও পড়ুন: আহতদের পানি দিতে গিয়ে নিজেই শহিদ, ডাক্তার না থাকায় গুলিবিদ্ধ শরীর নিয়ে দাফন

তখন শুরু হয় আরেক পালিয়ে বাঁচার লড়াই। এরপর আমাকে নেওয়া হয় মিরপুর-১১ নম্বরের ডেলটা কেয়ার হাসপাতালে। সেখানে আমার পা ওয়াশ করে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হল। ডাক্তার বললেন অন্তত তিন থেকে চারদিন ভর্তি থেকে অপারেশন করাতে হবে। সে হাসপাতালের প্রতিদিনের সিট ভাড়া ২৮০০ টাকা শুনে, বললাম আমার পরিবারের পক্ষে এখন এ খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তখন সে ডাক্তার পরামর্শ দিলেন, বাসার চারদিন থাকার পরে অপারেশনের জন্য আসার। তার পরামর্শে বাসায় চলে গেলাম। 

এরপরে শুরু হয় আরেক লড়াই, এবার সে লড়াইয়ের মুখোমুখি আমার পরিবার। এলাকার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কানে আমার আহত হওয়ার ঘটনা পৌঁছালে তারা বিভিন্নভাবে আমার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। খবর ছড়িয়ে পড়ে, আমাকে এই অবস্থায় পুলিশে ধরিয়ে দিবেন। আমার বাবাকেও বিচারের সম্মুখীন করা হবে। তারা কেন আমাকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যেতে দিলো।

148f91e9-ba62-473a-9b9f-7ee13a3be564


এর ধারাবাহিকতায় ২৬ জুলাই আমার ছোট ভাইকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হল। যার বয়স হলো মাত্র ১৮ বছর। আম্মু পাগলের মতো কিছু একটা করে ভাইকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে পুলিশ আম্মুর কাছে ভাইকে ছাড়ানোর জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করল। আম্মুর অনেক অনুরোধের পর পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে তারা আমার ছোট ভাইকে ছাড়তে রাজি হল। ছাড়া পাওয়ার পরে আব্বু, ছোট ভাই ও দুলাভাই এলাকা থেকে দূরে আত্মগোপনে চলে গেল। 

২৮ জুলাই ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে আমার অপারেশন হল। যেদিন অপারেশনের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে হাসপাতাল আসছিলাম সেদিন আমাকে ধরে এম্বুলেন্সে তোলার মতনও কেউ ছিল না। আমার আম্মু ও আপুর গহনা বন্ধক করে এবং আত্মীয়স্বজনের থেকে ধার নিয়ে অপারেশনের টাকা জোগাড় করা হয়েছিল। ৩ আগস্ট আমি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরি। 

আরও পড়ুন: ‘ছাত্রলীগের একজন বলল মরছে কিনা দেখতো, আরেকজন মাথায় পানি ঢেলে বলে নাটক করছে’

অনেকেই বলেন, ভাই অপারেশন কি সরকারি হাসপাতালে করানো যেত না?- সরকারি হাসপাতালে অপারেশন কেন করাইনি জানেন? কারণ সেসময়ে সরকারি হাসপাতাল থেকে আহত বা আঘাতপ্রাপ্ত ছাত্রদেরকে খুঁজে খুঁজে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, সে ভয়ে। 

41edf86d-ad0f-4a0c-88a7-3aa9c4202001

৫ই আগস্ট আমার দেশ দ্বিতীয় বারের মত স্বাধীন হয়েছে। যখন স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন হয়, সেদিনটি ছিল আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের দিন। এতদিনে আমার কষ্ট সার্থক হয়েছে। আমার চেয়ে অনেক খারাপ অবস্থাতে আছে অনেক ভাই এখনও। কারোর হাত নেই তো কারোর পা তবুও তাদের স্পিরিট আমাকে অনুপ্রাণিত করে। হয়ত আমার সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে কিন্তু একদিন ঠিকই আমি স্বাধীনতা ভোগ করবো। উপভোগ করতে পারবো আমার স্বাধীন দেশের স্বাধীন আকাশকে। 

তিনি ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, বর্তমানে তার পায়ে প্লাস্টার রয়েছে। আগামীকাল হাসপাতালে যাবেন প্লাস্টার খোলার জন্য। তার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বন্ধুরা তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রের থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি। এমনি ক্যাম্পাস থেকেও কোনো সহযোগিতা আসেনি। শুধু হিসাববিজ্ঞান থেকে কিছু শিক্ষক এসে খোঁজ নিয়ে গিয়েছে।  এ মুহূর্তে সোহরাওয়ার্দী কলেজ পড়ুয়া এ শিক্ষার্থী চান সকলের চান একটু মানবিক দৃষ্টি।


সর্বশেষ সংবাদ