শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে মরিয়া শতাধিক নেতা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৯ AM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৪ AM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে স্থান পেতে চান শতাধিক নেতা। এ লক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন ১০৯ জন পদপ্রত্যাশী। আসন্ন নতুন এ কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদ আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিভিন্নস্থরের এসব নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন কমিটির কার্যক্রম শুরুর পর থেকে কেন্দ্রের নজরে থাকতে অনেকে সামাজিক যোগাযোগে প্রচারণা বাড়িয়েছেন। তবে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি হতাশাও দেখা দিয়েছে পদ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে।
এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত জমার দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তখন থেকে শাবি ছাত্রলীগের ৬টি গ্রুপের নেতাকমীরা শোডাউনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
চারটি গ্রুপ একসঙ্গে কর্মসূচি পালন করলেও বাকি দুই গ্রুপ কেন্দ্রীয় নির্দেশে বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি দিচ্ছে বলে এমন আলোচনাও চলছে।
শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি নেই এক দশকের বেশি সময় ধরে। কমিটি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। কমিটি না থাকায় নানা গ্রুপ, উপগ্রপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে আধিপত্য ধরে রাখতে প্রায়ই সংঘাতে জড়াচ্ছে বিবদমান গ্রুপগুলোর নেতাকর্মীরা।
শাখা ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটি হয়েছিল ১০ বছর আগে। ২০১৩ সালের ৮ মে এক বছর মেয়াদি শাবি ছাত্রলীগের ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়। মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মে এই কমিটিকে ১৫১ সদস্যে পূর্ণাঙ্গ করা হয়। পরে ২০২১ সালের ১৭ জুন এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর থেকে সেখানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই।
শাবি ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতা সজিবুর রহমান বলেন, সংগঠনের জন্য আমি এতকিছু করলাম, কিন্তু দেয়ার মতো কোনো পরিচয় নেই। আমাদের তো ছাত্রত্বও শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হলে তো কোনো পরিচয় নেই। দলের শৃঙ্খলার জন্যও কমিটি প্রয়োজন।
কমিটি না থাকায় নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপের নেতা মামুন শাহ বলেন, কারো কোনো সাংগঠনিক পরিচয় নেই। এতে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। নতুন নেতৃত্বও আসে না। হতাশ হয়ে অনেকে ক্যাম্পাসও ছেড়ে দিচ্ছে।
নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন জানান, নতুন ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পেতে আবেদন করেছে ১০৯ জন ছাত্রনেতা। আবেদনের সময়সীমা ছিল গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।