ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন শান্ত

নাজমুল হোসেন শান্ত
নাজমুল হোসেন শান্ত  © সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের সুপার এইটে টানা দুই হারের পরও কাগজে-কলমে টিকে ছিল বাংলাদেশের সেমিফাইনালের স্বপ্ন। তবে ব্যাটসম্যানদের একেরপর এক ব্যর্থতায় সেমির স্বপ্ন বাস্তবায়নে মেলাতে পারেনি টাইগাররা। ফলে এখানেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। পুরো টুর্নামেন্টে দলের ফলে সন্তুষ্ট নন নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগানদের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। টাইগারদের বিপক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬ টায়। বাংলাদেশকে সেমিতে যেতে হলে ১২.১ ওভারের মধ্যেই আফগানিস্তানের দেয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হতো। তা করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

প্রথম দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হারের পরও সুযোগ ছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার। সেন্ট ভিনসেন্টে সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশের সমীকরণ ছিল ১২.১ ওভারে আফগানদের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করা। ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় সেটি আর সম্ভব হয়নি। উল্টো সেমিফাইনাল করতে করতে ম্যাচই হারল বাংলাদেশ।

সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় ক্ষমা চেয়েছেন শান্ত। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টাইগার এই অধিনায়ক বলেন, ‘সব মিলিয়ে টুর্নামেন্ট নিয়ে বলব, আমরা দল হিসেবে পুরো বাংলাদেশের সমর্থকদের হতাশ করেছি। যাঁরা আমাদের খেলা দেখেন, সব সময় আমাদের সমর্থন করেন, তাঁদের আমরা হতাশ করেছি। আমি দলের পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রার্থী। ব্যাটিং গ্রুপ আমরা দেশের মানুষকে ওইরকম ভালো কিছু দিতে পারিনি। এটার জন্য আমরা দুঃখিত।’

আফগানদের কাছে হার প্রসঙ্গে শান্তর কণ্ঠে বিমর্ষের সুর, ‘এই হার অনেক হতাশার এবং অনেক কষ্টেরও। এই ম্যাচ খেলতে আসার আগে সবারই পরিকল্পনা ছিল, ম্যাচটা আগে আমরা জিতব। কিন্তু যদি সে রকম পরিস্থিতি হয়, ওই সুযোগটা আমরা নেব (সেমিফাইনালের সমীকরণ)। যেটা আমাদের হাতে ছিল, ওটা আমরা নিতে পারিনি। পুরো ব্যাটিং গ্রুপই আমরা বাজে বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বাংলাদেশের পরিকল্পনা ছিল প্রথম ৬ ওভারে উইকেট রেখে রান বাড়িয়ে নেওয়ার। উইকেট থাকলে পরে সমীকরণে পূরণের একটা চেষ্টা চালাত তারা। তবে সেটি আর সম্ভব হয়নি নাভিন উল হকের তোপ দাগানো বোলিংয়ে। মাঝের ওভারে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে ম্যাচই খুইয়েছে বাংলাদেশ।

শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানো আর মিডল অর্ডার দায়িত্ব নিতে না পারায় ম্যাচ হেরেছে বললেন শান্ত, ‘পরিকল্পনা এ রকম ছিল—আমরা প্রথম ৬ ওভার চেষ্টা করব। যদি আমরা ভালো শুরু করি, দ্রুত উইকেট না পড়ে, ওই সুযোগটা নেব। কিন্তু যখন ৩টা উইকেট পড়ে গেল, তখন আমাদের পরিকল্পনা ভিন্ন ছিল, কীভাবে আমরা ম্যাচটা জিততে পারি। তারপর বলব, মিডল অর্ডার সে রকম ভালো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ কারণে আমরা হেরে গেছি।’

বিশ্বকাপের ভালো দিক নিয়ে শান্ত বলেন, ‘ইতিবাচক দিক অবশ্যই বোলাররা খুবই ভালো বোলিং করেছে। রিশাদ এরকম একটা টুর্নামেন্টে এসে সবগুলা ম্যাচে ভালো বোলিং করেছে। বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল। তবে ব্যাটিং দিক থেকে আমরা সমর্থকদের হতাশ করেছি। দেশের মানুষকে আমরা বলতে গেলে কষ্ট দিয়েছি। তবে এটাও আমি বলতে চাই, চেষ্টার কমতি ছিল না। শতভাগ দিয়ে সবাই চেষ্টা করেছে। সবাই নিজের কাজে সৎ ছিল। তবে আমরা দিন শেষে পারিনি। তাই এটার জন্য দলের পক্ষ থেকে সরি।’

 

সর্বশেষ সংবাদ