যেভাবে হবে স্কুলে ভর্তির লটারি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২১, ১২:২২ PM , আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২১, ১২:২২ PM
এবছরের ন্যায় ২০২২ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। শীতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে- এমন আশঙ্কা মাথায় রেখে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নীতিমালা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এবারও আগের মতোই বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন ফি ২০০ টাকা ও সরকারিতে ১৭০ টাকা রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাড়ানো হচ্ছে না। ভর্তি নীতিমালার অন্যান্য বিষয় আগের মতো থাকছে।
গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।
সভায় অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন বছরের ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হলেও এখনও আবেদনপত্র বিক্রি শুরু ও ভর্তির সময় নির্ধারণ করা হয়নি। আগামী রবিবার বৈঠকের রেজুলেশন চূড়ান্ত করার পর মাউশি থেকে ভর্তির আবেদন ফরম বিক্রি এবং ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ও শেষ করতে সময় নির্ধারণ করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
যেভাবে জানা যাবে ফল:
লটারি শেষ হওয়ার পরে প্রতিষ্ঠান প্রধান, অভিভাবকরা টেলিটকের ওয়েবসাইট (https://gsa.teletalk.com.bd/) থেকে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ফল ডাউনলোড করে জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতিকে ইমেইল করবেন। একই সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে।
যেভাবে ভর্তি:
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সভা ডাকতে হবে। আর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ভর্তি লটারির বিস্তারিত প্রক্রিয়া জানিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এবারও স্কুলগুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে। ভর্তি আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পেরেছে।