স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ব্যবসায়ী স্বামীর বিরুদ্ধে

কংকন বিশ্বাস
কংকন বিশ্বাস  © টিডিসি ফটো

নিজের কু-কর্ম ঢাকতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বোরহানগঞ্জ বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ীর কংকন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নানান ভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে যেতেন বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে অভিযোগকারী স্কুল শিক্ষিকা সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন।

জানা গেছে, অভিযুক্ত কংকন বিশ্বাস ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের বোরহানগঞ্জ বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী। ভুক্তভোগী স্ত্রীর নাম সীমা রানী দাস। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। ওই দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

সীমা রানী দাস মৌখিক বক্তব্যে বলেন, ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে কংকন বিশ্বাসের সাথে। বিয়ের পর থেকেই তাদের সাংসারিক জীবনে অশান্তি ও কলহ লেগেই থাকত। বিয়ের পর থেকেই তাকে বিভিন্ন সময় স্বর্ণালংকার সহ নানা আসবাবপত্র দেওয়া হয়। বিয়ের পরপরই আমার বেতনের চেকবই আমার মামার কাছ থেকে নিতে বাধ্য করেন। এ নিয়ে তাকে নানান ভাবে মানসিক নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ তার। 

এছাড়াও বিভিন্ন সময় বেতনের টাকা তুলে তাকে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। এরপর থেকেই সন্তানদের ভরন পোষন না দেয়ারও অভিযোগ তুলেন সীমা রানী। একটি স্কুলের শিক্ষিকার সাথেও তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান তার স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে তাকে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ করেন সীমা রানী। অনেক সময় মারতে মারতে অসুস্থ হয়ে গেলে স্ত্রীকে তার মামার বাড়ি রেখে আসতেন কংকন। 

গত ২ বছর ধরে স্ত্রী-সন্তানদের ভরন পোষণ বন্ধ করে দিয়ে তাদের মামা বাড়ি পাঠিয়ে দেন কংকন। এরপর ভুক্তভোগীর মামারা বিষয়টি মধ্যস্থতা করতে চাইলে কংকন ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে স্ত্রীকে নেবেন না বলে তাদের জানিয়ে দেন তিনি। 

ভুক্তভোগীর মামা মৃণাল কান্তি হালদার বলেন, শিক্ষিত ছেলে ভেবে আমার ভাগ্নিকে তার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু একজন শিক্ষিত ছেলের আচরণ যে এতটা জঘন্য হবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। মামা হিসেবে ভাগ্নির সুখ চেয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই ভাগ্নির মলিন চেহারা আমাকে মর্মাহত করেছে। আমি আমার ভাগ্নির ওপর হওয়া মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের বিচার চাই।

ভুক্তভোগী সীমা রানী দাস বলেন, আমার উপর হওয়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই। 

অভিযুক্ত কংকন বিশ্বাস বলেন, তিনি যে অভিযোগগুলো করেছেন তা সম্পূর্ণ সত্যি নয় তবে রাগের মাথায় তার গায়ে আমি হাত তুলেছি এটা সত্য। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি তিনি বলেছেন বসে বিষয়টি সমাধান করে দিবে। সমাধান হলে আমি তার সঙ্গে সংসার করতে ইচ্ছুক।

 

সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence