৯৯ হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারে ১৫ লাখ জনবল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৬ AM , আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১০:১৯ AM
দেশের বর্তমানে প্রায় ৯৯ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারে ১৫ লাখ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে নারী শিক্ষক ৩৬ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেশে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকসহ জনবল আছে ৬৫ হাজারের বেশি।
জরিপ প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুসারে বিস্তারিতভাবে ২০২২ এবং ২০২৩ সালের ত্রৈমাসিক মূল্য সংযোজন প্রাক্কলন করা হয়েছে। এতে শিক্ষা খাতের বর্তমান অবস্থা এবং জাতীয় জিডিপিতে এর অবদান জানার জন্য জরিপটিতে মূল্যবান তথ্য-উপাত্ত প্রস্তুত রয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, ৯২ হাজার ২৩২টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২২ সালের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (কোচিং সেন্টার ব্যতীত) জনবলের সংখ্যা যথাক্রমে ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫২, ১৩ লাখ ৮৩ হাজার ২৪০, ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৫ এবং ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৪ জন।
৬ হাজার ৫৮৭টি কোচিং সেন্টারে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে মোট প্রাক্কলিত জনবলের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৫ হাজার ২২৪, ৬৫ হাজার ৪৩৮, ৬৫ হাজার ৩২০ এবং ৬৫ হাজার ৩৫৩ জন।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় চতুর্থ ত্রৈমাসিকে মোট কর্মসংস্থানের আকার ছিল ১৪ লাখ ৪১ হাজার ৭৭৬, ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৮, ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৫ এবং ১৪ লাখ ৫২ হাজার ১৭ জন।
২০২৩ সালের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (কোচিং সেন্টার ব্যতীত) মোট জনবলের সংখ্যা যথাক্রমে ১৪লাখ ০৭ হাজার ৩৫৬, ১৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৬৮, ১৪ লাখ ১৫ হাজার ২৯৬ ও ১৪ লাখ ২১ হাজার ২২২ জন। আর কোচিং সেন্টারে মোট প্রাক্কলিত জনবলের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৭ হাজার ৩৬০, ৬৭ হাজার ৪৫৪, ৬৭ হাজার ৬৫১ এবং ৬৬ হাজার ৭৫৪ জন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যয়যোগ্য আয় ৭৩ হাজার কোটি টাকা
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকে মোট কর্মসংস্থানের আকার ছিল ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭১৬, ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৩২২, ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৭, এবং ১৪ লাখ ৮৭ হাজার ৯৭৬ জন।
২০২২ ও ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (কোচিং সেন্টার ব্যতীত) কর্মরত নারীদের শতকরা হার ছিল যথাক্রমে ৩৬ দশমকি ১৩ এবং৩৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। একই সময়ে কোচিং সেন্টারে নারীদের কর্মসংস্থানের অংশ ছিল ২২ দশমিক ৪৩ এবং ২৩ দশমিক ১১ শতাংশ। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে নারীর প্রতিনিধিত্বের হার ছিল ৩৫ দশমিক ৪৯ ও ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এ হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৫ দশমিক ৯০ শতাংশ হয়।
কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বছরের পর বছর একটি স্থির প্রবৃদ্ধি স্পষ্ট ছিল। ২০২৩ সালের ১ম, ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ ত্রৈমাসিকে বছর টু বছর (পয়েন্ট-টু- পয়েন্ট) প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ২ দশমিক ২৮, ২ দশমিক ৯৪, ২ দশমিক ৬৬ এবং ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ।