প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৩৭৫৭৪
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০২:৪৪ PM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০২:৪৪ PM
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বমোট ৩৭,৫৭৪ (সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশত চুয়াত্তর) জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনপূর্বক ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচিত প্রার্থীরা মোবাইল নাম্বারে ফলাফলের এসএমএস পাবেন। এ ছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.mopme.gov.bd) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্বাচিত প্রার্থীগণকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে সকল সনদের মূলকপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ০৩ কপি, পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম (যথাযথভাবে পূরণকৃত), সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্বশরীরে উপস্থিত হবার অনুরোধ করা হলো।
জানা গেছে, ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ২০২২ সালের মার্চ মাসে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এ বছর মোট ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে গত নভেম্বরে বিজ্ঞপ্তির সময় উল্লেখ করা ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাংলায় ৮০, ইংরেজিতে ৭৬, গণিতে ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি
সে সময় বিষয়টি নিয়ে চাকরি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলে তারা আন্দোলন শুরু করেন। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দফায় দফায় ফল প্রকাশের তারিখ পেছানো হয়। পরবর্তীতে ২৮ নভেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে পদ সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
তথ্যমতে, প্রায় ১৩ লাখ ৯ হাজার চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেন। সারা দেশে তিনটি ধাপে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব ধাপে সব মিলিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৮২৫ জন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৪০ হাজার ৮৬২, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ ও তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পরবর্তী মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষা এবং লিখিত পরীক্ষার ফল একসঙ্গে করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত ফল তৈরির কাজটি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।