আজান দিতে দেরি হলে নামাজ পড়া যাবে কি?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

জামাতে নামাজের জন্য মানুষকে মসজিদে আহ্বান জানানো হয় নির্দিষ্ট আরবি বাক্য ও শব্দের মাধ্যমে উচ্চকণ্ঠে ডেকে যাকে বলা হয় আজান। আরবি শব্দ ‘আজান’-এর অর্থ আহ্বান বা ডাকা। ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ নামাজের সঙ্গে এই আহ্বানের রয়েছে গভীর সম্পর্ক।

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে আজান দেয়া হয়, যাতে মুসল্লিরা মসজিদে একত্রিত হয়ে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে মাঝে মাঝে মুয়াজ্জিনের ব্যস্ততা বা বিশেষ কোনো কারণে ওয়াক্ত হয়ে গেলেও আজান দিতে দেরি হয় বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এমনটি প্রায়ই দেখা যায়।

এ অবস্থায় অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে মুয়াজ্জিনের আজান দিতে দেরি হলে নামাজ পড়া যাবে কি?

এ বিষয়ে ইসলামী স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আজান মূলত নামাজের আহ্বান হিসেবে দেয়া হয়। নামাজের মূল শর্ত হলো ওয়াক্তের সময় শুরু হওয়া। তাই যদি ওয়াক্ত হয়ে যায়, তবে আজান না হলেও বা বিলম্বে হলেও ওই ওয়াক্তের নামাজ আদায় করা জায়েজ।

তিনি আরও বলেন, আজান হচ্ছে মুসল্লিদের ডাক এটি নামাজের শর্ত নয়। তাই ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে মুয়াজ্জিনের আজান না হলেও নামাজ পড়া যাবে।

এদিকে, হাদিসে আজানের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে। আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,যখন তোমরা আজান শুনবে, মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তাই বলো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৮৪)

অর্থাৎ, আজান শোনা ও এর জবাব দেয়া সুন্নত হলেও আজান না হওয়া নামাজের জন্য কোনো বাধা নয়।


সর্বশেষ সংবাদ