যে তিন সময়ে নামাজ পড়া নিষেধ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০২:০৮ PM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৫ AM
নামাজ ইসলামের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। অসুস্থতা, ভ্রমণ কিংবা যুদ্ধ—কোনো পরিস্থিতিই মুসলমানের নামাজ ছাড় দেওয়ার বিধান নেই। তবে ইসলামি শরিয়তে এমন তিনটি সময় রয়েছে, যখন নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই নিষিদ্ধতা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত কিংবা নফল—সব নামাজের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এমনকি কাজা নামাজও এই সময়গুলোতে পড়া যাবে না।
প্রথম নিষিদ্ধ সময়: সূর্যোদয়ের মুহূর্ত
সকালবেলা যখন সূর্য দিগন্তে উঠতে থাকে, অর্থাৎ পুরোপুরি উদিত হওয়ার আগ পর্যন্ত নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ। হাদিসে এসেছে—‘সূর্য উদিত হতে থাকলে কোনো নামাজ নেই, যতক্ষণ না সূর্য সম্পূর্ণভাবে উঠে যায়’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৫২৩)। এই সময় নফল তো দূরের কথা, কাজা নামাজও পড়া জায়েজ নয়।
দ্বিতীয় নিষিদ্ধ সময়: মধ্যাহ্নের সময়—সূর্য যখন ঠিক মাথার ওপরে থাকে
যখন সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থান করে, অর্থাৎ ঢল না ধরার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত, তখনও নামাজ নিষিদ্ধ। এটি দিনের সবচেয়ে গরম ও উজ্জ্বল সময়। ‘যখন সূর্য মধ্যাকাশে থাকে, তখন নামাজ পড়ো না—যতক্ষণ না সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ে’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৩৭৩)। এই সময় খুব অল্প হলেও স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ, এবং জুমার দিন ছাড়া অন্য দিনগুলোতে তা পরিপালন করা ফরজ নামাজের সঠিক সময় নির্ধারণের জন্য জরুরি।
তৃতীয় নিষিদ্ধ সময়: সূর্যাস্তের আগে—হলুদ রঙ ধারণের পর
যখন সূর্য অস্ত যাওয়ার পথে থাকে এবং হলুদাভ রঙ ধারণ করে, তখন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময় নামাজ পড়া নিষেধ। এটি সাধারণত আসরের সময় শেষ দিকে পড়ে। তবে, যদি কারও আসরের নামাজ বাকি থাকে, তবে সে এ সময়ের মধ্যে নামাজ আদায় করতে পারবে। ‘তোমাদের কেউ যেন আসরের নামাজ সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই পড়ে নেয়’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৪৫)। অর্থাৎ সূর্যাস্তের সময় আসরের কাজা চলবে, কিন্তু অন্য নামাজ নয়।
নামাজের নিষিদ্ধ সময়গুলো মূলত ইসলামের গভীর শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্য নির্ধারিত। তাই সচেতন মুসলমানের উচিত—এই সময়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা এবং তা মেনে চলা।