জ্বরে করণীয়: চিকিৎসা ও তাওহিদের সমন্বয়
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ০৩:২০ AM , আপডেট: ১০ মে ২০২৫, ০৪:৫৬ AM
জ্বর মানুষের একটি অতি পরিচিত ও ব্যাপকভাবে দেখা যাওয়া শারীরিক অবস্থা, যা সব বয়সী মানুষের মাঝেই দেখা যায়। বছরের যেকোনো সময়েই জ্বরের প্রকোপ দেখা দিতে পারে, তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বা ঋতু পরিবর্তনের কালে এর প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে। এটি শুধুমাত্র শরীরকে দুর্বল করে তোলে না, বরং অনেক সময় মানসিকভাবেও মানুষকে ক্লান্ত ও বিষণ্ণ করে তোলে। জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি নানা রকম কষ্টে ভোগেন—শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, শরীর ব্যথা করে, দুর্বলতা দেখা দেয় এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়।
বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির মাধ্যমে মুমিনদের পাপ মোচন হয়। তাই জ্বর বা অন্য কোনো রোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ না করে ধৈর্য ধারণ করতে বলা হয়েছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন উম্মে সায়িব কিংবা উম্মুল মুসায়্যিব (রা.)-এর কাছে গিয়ে বলেন, তোমার কী হয়েছে হে উম্মে সায়িব অথবা উম্মুল মুসায়্যিব! কাঁপছ কেন? তিনি বলেন, ভীষণ জ্বর, এতে আল্লাহ বরকত না দিন। তখন তিনি বলেন, তুমি জ্বরকে গালি দিয়ো না। জ্বর আদম সন্তানের গুনাহসমূহ বিদূরিত করে দেয়, যেভাবে (কামারের) হাপর লোহার মরিচা দূর করে দেয়। (মুসলিম, হাদিস : ৬৩৩৬)
জ্বরের সময় শরীর অতিরিক্ত তাপমাত্রা সৃষ্টি করে, যা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। পানি দিয়ে শরীর ঠাণ্ডা করলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে।
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতেও জ্বর নিয়ন্ত্রণে পানি ব্যবহারের বিকল্প নেই। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জ্বরের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের তাপ থেকে। তাই পানি দিয়ে তোমরা তাকে ঠাণ্ডা করবে।
(মুসলিম, হাদিস : ৫৫৬৪)
ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি জ্বর কমানোর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) জ্বর এবং সব ধরনের বেদনার ক্ষেত্রে এই বলতে শিখেয়েছেন—‘বিসমিল্লাহিল কাবির, আউযু বিল্লাহিল আজীম, মিন শররি কুল্লি ইরকিন না’আরিন, ওয়া মিন শররি হাররিন নার।
’ অর্থ : মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমি মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই প্রত্যেক উত্তপ্ত শিরার অনিষ্ট থেকে এবং আগুনের উত্তাপের অনিষ্ট থেকে।
(তিরমিজি, হাদিস : ২০৭৫)