আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল-২০২২
প্রোগ্রামিং বিশ্বকাপে এবার লড়বে ঢাবি-বুয়েটসহ ৮ বিশ্ববিদ্যালয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২২, ১০:২৬ PM , আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২২, ০৯:০২ AM
প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিয়াড খ্যাত ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) ওয়ার্ল্ড ফাইনাল-২০২২ এ অংশ নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি আয়োজকদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রতি বছর বিশেষভাবে আয়োজিত হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি)’। বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ এই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার গত আসরে (৪৪তম) এশিয়া-ওয়েস্ট রিজিয়নে (পশ্চিমাঞ্চলে) প্রথম স্থানের অর্জনসহ বাংলাদেশের তিন বিশ্ববিদ্যায়ের স্থান হয়েছিল। রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত এই পর্বে বিশ্বের ১১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ১১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৩তম ঢাবি
এবার ৪৫তম ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) চূড়ান্ত পর্বের (ওয়ার্ল্ড ফাইনাল) আয়োজক হয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ৬ থেকে ১১ নভেম্বর ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ঢাকা’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৭৫টি দেশের দেড় শতাধিক দল সরাসরি অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং একাডেমিক হোস্ট ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, বাংলাদেশ।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হলো আইসিপিসি। আইসিপিসি আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আইসিপিসি ফাউন্ডেশন।
এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এ ইভেন্টের আয়োজন করছে এবং চীন, জাপান এবং থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ এশিয়ার মাত্র চতুর্থ দেশ যারা এ ইভেন্টের আয়োজক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
আইসিপিসির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সাল থেকে। যদিও ১৯৭৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ আয়োজনের দায়িত্বে ছিল কম্পিউটারের বৈজ্ঞানিক গবেষণার অন্যতম বৃহৎ ও পুরোনো প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (এসিএম)।
আরও পড়ুন: বুয়েটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আইসিপিসি প্রতি বছর দু’টি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। ১ম পর্বে বিশ্বের ৮টি অঞ্চল থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ীরা চূড়ান্ত (ওয়ার্ল্ড ফাইনাল) পর্বে অংশ নেয়। আইসিপিসি, ঢাকা বিশ্বের ৮টি অঞ্চলের মধ্যে এশিয়া-পশ্চিম অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের ৮টি অঞ্চল থেকে আঞ্চলিক পর্বে বিজয়ী দলগুলো এবছর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় আইসিপিসি এর চূড়ান্ত পর্বে (ওয়ার্ল্ড ফাইনাল) অংশ নেবে।
আইসিপিসি বাংলাদেশ পর্বে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আইসিপিসি-এর এশিয়া-ঢাকা আঞ্চলিক পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের দল DU_FlareBlitz 4.0 চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এ প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে ১ম ও ২য় রানার আপ হয়েছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দল BUET:NerdHerd এবং BUET:3Q2।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গত ৭ জুলাই কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ অনলাইনের মাধ্যমে এই আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।