দেশসেরা কলেজের ছাত্রাবাস: ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি, শৌচাগারের দরজা ভাঙা

দেশসেরা কলেজের ছাত্রাবাস
দেশসেরা কলেজের ছাত্রাবাস  © সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ছাত্রাবাসের ভেতরে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। সব দেয়ালের পলেস্তারা খুলে বালু ঝরে পড়ছে। ৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র শুভ কর্মকার বললেন, তিনি বারান্দায় রান্না করছিলেন। সরে আসামাত্রই ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ল। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। এর আগেও অনেক ছাত্রের মাথার ওপরে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ওই কক্ষের আরেক আবাসিক ছাত্র রিপন বর্মন বলেন, বৃষ্টি হলে ঝরঝর করে জল পড়ে। তাই ছাদের নিচে পলিথিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি শেষে পলিথিনের ভেতরে জমে থাকা জল পরে বের করে দিতে হয়। এ কক্ষে পাঁচজন ছাত্র থাকেন। কিন্তু একটা লাইট জ্বলে। আর কোনো লাইট জ্বালানো যায় না। লাইট নষ্ট হয়ে গেছে। পাঁচজনে মিলে এক লাইটের আলোতে পড়তে হয়।

ছাত্রাবাসের টিভি দেখার কক্ষে চারটি ফ্যান আছে। তবে সব কটি ফ্যান অকেজো। ছাত্রাবাসে রান্না করেন নাজমা বেগম। তিনি বললেন, বৃষ্টি হলে রান্নাঘরের মেঝে ভেসে যায়। এ জন্য সেদিন রান্না বন্ধ রাখতে হয়।

ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষটিও একই রকম জরাজীর্ণ। শিক্ষার্থীরা জানান, ভেঙে পড়ার ভয়ে তত্ত্বাবধায়ক বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া অফিস করেন না। এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সুশান্ত রায় চৌধুরী বলেন, ছাত্রাবাসের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় মাথার ওপর ভেঙে পড়ার মতো হয়ে আছে।

এসব বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল খালেক বলেন, এ ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। আবার যেন জগন্নাথ হলের মতো অবস্থা না হয়। ছাত্রাবাসে ১০ লাখ টাকার সংস্কারকাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজটি করছে। তাদের প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, কাজ শুরু করবেন, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ঠিকাদার কাজ শুরু করছেন না।

এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী উজ্জ্বল রায় বলেন, রাজশাহী কলেজের বড় সংস্কারকাজ করা হয়েছে। তবে রাজস্ব খাতের বরাদ্দের সংকট রয়েছে। এ জন্য ঠিকাদার অনেকবার কাজ শুরু করতে চেয়েও করেননি। তাঁকে এবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। কাজ শুরু না করলে কার্যাদেশ বাতিল করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ