কুবিতে শেষ হলো সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান সপ্তাহ
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪৯ PM , আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৫৮ PM
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্দা নেমেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত নৃবিজ্ঞান সপ্তাহ-২০২২ এর।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় সপ্তাহ ব্যাপী এ আয়োজন।
১৪ তম ও ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ এবং ৮ম ও ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রবীণ বিদায় শেষে সপ্তাহ ব্যাপী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ-গান, আবৃত্তি, অভিনয় ও র্যাম্প শো'র মাধ্যমে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, নৃবিজ্ঞান মানুষ নিয়ে কাজ করে সেক্ষেত্রে তোমরা সমাজে অনেক দিকে অবদান রাখতে পারে। আপনারা শিক্ষক-ছাত্ররা নিজেদের যে বন্ডিং দেখিয়েছেন তা অনেক ভালো, আশা করি আপনারা তা ধরে রাখবেন।
বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, বিদায় অবশ্যই একটা বেদনার ব্যাপার কিন্তু এখানে একটা ভালো দিক হলো তোমরা সফলভাবে এ জার্নি শেষ করেছ। তোমরা ফিজিক্যালি আমাদের থেকে দূরে থাকলেও মনের দিক থেকে সবসময় আমাদের কাছেই থাকবে।
নবীনদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা নবীনরা তোমাদের অনেক ভালো স্কিল তৈরি করবে এখানে সবসময় খেয়াল রাখবে যেনো তা নষ্ট না হয়। তোমরা দেশের ইকোনমিতে বড় অবদান রাখবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আপনারা যেভাবে মানুষের কৃষ্টি কালচার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তার জন্য আপনারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, আজকে যারা বিদায় নিচ্ছেন তাদের আমরা বিদায় দিচ্ছি না, আমরা আপনাদেরকে আরও ভালো যায়গায় যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী ও এনথ্রোপলজি সোসাইটির ভিপি মুনিম হাসান ও জিএস ইসতিয়াক আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।