জবিতে ভর্তির পরও দুই কারণে ছাত্রত্ব বাতিল হতে পারে

শিক্ষার্থী
শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। চলছে ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের পর পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে। এরপরই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

গুচ্ছের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে তাই শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কমতি নেই। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিনক্ষণ নির্ধারিত না হলেও বিজ্ঞপ্তির কিছু খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এগুলো চূড়ান্ত হওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জবিতে ভর্তির খসড়া বিজ্ঞপ্তির একটি পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল কিংবা ভর্তি বাতিলের দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুটি কারণে ভর্তির পরও শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করা হবে।

আরও পড়ুন: ৩০ পেলেই জবিতে ভর্তির সুযোগ মিলবে ৭৬ জনের

ওই সূত্র আরও জানায়, ভর্তি পরীক্ষা কিংবা ভর্তির কোনো স্তরে পর অনিয়ম, অযোগ্যতা অথবা দুর্নীতি ধরা পড়লে ভর্তির পরও ছাত্রত্ব বাতিল হবে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বন করে থাকলে ছাত্রত্ব বাতিল হবে। 

এদিকে জবিতে প্রতিবছর নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, উপজাতি এবং পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে মোট আসনের ৫ শতাংশ বরাদ্দ থাকে মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য, উপজাতি / প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ, পোষ্য কোটায় প্রতি বিভাগে দুইজন এবং খেলোয়ার কোটায় মোট ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়।

জানা গেছে, বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮টি বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট রয়েছে। এর প্রতিটিতে পোষ্য কোটায় দুইজন করে ভর্তির সুযোগ পাবেন। সে হিসেবে পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন ৭৬ জন। পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীকে ৩০ নম্বর পেতে হবে। এজন্য আবেদনকৃত শিক্ষার্থীকে জবির রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ