জবি ছাত্রলীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ‘কুপ্রস্তাব’ অভিযোগ নারী নেত্রীর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২২, ০৯:৫৬ PM , আপডেট: ০১ জুলাই ২০২২, ১০:১৫ PM
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সদ্য কার্যক্রম স্থগিত হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ করেছেন সংগঠনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তী।
প্রিয়ন্তীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করলেও কেবলমাত্র সাধারণ সম্পাদক আকতারের কুপ্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় জবির ছাত্রী হলে তার জায়গা হয়নি।
শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তী। অভিযোগের বিষয়ে জানতে এস এম আকতার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের নেতৃত্বাধীন শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শুক্রবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রী ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দীর্ঘ সাত বছর ধরে জবিতে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক হয়েও কেবলমাত্র আকতার হোসেনের কুপ্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় জবির ছাত্রী হলে আমার সিট হয়নি।
কুপ্রস্তাবের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো অভিযোগ করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, কার কাছে অভিযোগ করবো? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না। সেজন্য আমি কোনো অভিযোগ করিনি।
ফেসবুকে ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ‘‘লেখক (কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) দাদার বাসা থেকে যেদিন ফুল দিয়ে নিচে নামলাম তার সাথে সেদিন সে সকল পোস্টেড নেতার সামনে বসে আমাকে আর জিনিয়া আফ্রিনকে উদ্দেশ্য করে বললেন, কোন হাই কমান্ডের ফোনে সে হল কমিটি দিবে না; দরকার হয় সে সাবেক হয়ে যাবে। সে নেতা হয়ে গেছে, তার নামের আগে সাবেক লেখা থাকবে তার সমস্যা নেই, আগে তার কর্মী হতে হবে, তাকে নেতা মেনে ধারন করতে হবে। তবেই সেই হলের নেত্রী বানাবে। আমরা অবাক হয়ে রইলাম; হলের কথা কই থেকে আসলো। নেতা হল ১০ দিন মাত্র তখন।
সেদিনের পর থেকে তার বিভিন্ন আবদার রাখতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তার সাথে আমার দীর্ঘ ৭ বছরের রাজনীতিকে সে মুহূর্তেই অস্বীকার করেছেন, এমন কি সে আমার ছোটবোনদের বলে দিয়েছেন আমাকে সালাম দিলে পদ পাবে না তারা। আমার অপরাধ ছিল আমি তার কুপ্রস্তাব মেনে নেইনি।ভেঙ্গে গেল ৭ বছরের ভাই-বোনের সম্পর্ক,
একমাত্র ছাত্রী হলে ছাত্রলীগ থেকে ৩০০+ মেয়ে হলে সীট পেলেও আমাকে সে হলে উঠতে দেয়নি। আমার জন্য তার অনেক বড় ভাইরা বললেও সে তার কানে তোলেনি। কারণ তার তো আর আমাকে প্রয়োজন নেই কর্মী হিসেবে, এখন সে নেতা তার প্রয়োজন মেটাতে পারলেই কেবল সে প্রয়োজনবোধ করবেন। বাংলাদেশের এমন কোন হল আছে কি যেখানে কোন গেস্ট গিয়ে একদিন থাকতে পারে না, কিন্তু এই আমি প্রিয়ন্তী হলে একদিন গিয়েছিলাম দেখতে হলে থাকার কেমন অনুভূতি কিন্তু এই আকতার জানতে পেরে প্রোভোস্ট ম্যামকে চাপ দিয়ে সেই রাতেই আমাকে হল থেকে বের হতে বাধ্য করে। আমার কি অপরাধ ছিল...?’’