অতিরিক্ত মাদক সেবনে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন এক ইবি শিক্ষার্থী 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

অতিরিক্ত পরিমাণে মাদক সেবনের ফলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ( ইবি) এক শিক্ষার্থী। ফারুক (ছদ্মনাম) নামের ওই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ১০৪ নম্বর কক্ষে (গণরুম) থাকতেন বলে জানা গেছে। পরে বিভাগীয় শিক্ষকদের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) তাকে মাদকাক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) মাদক গ্রহণ করার পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ কর‍তে থাকেন। ফলে তাকে গণরুম থেকে সরিয়ে হলের গেস্টরুমে রাখা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হলে তিনি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছেন জানিয়ে মাদকাক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্রে নেওয়ার পরামর্শ দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। পরে তার পরিবারকে জানালে সোমবার তার মা ক্যাম্পাসে আসেন। তিনি বিভাগের শিক্ষকদের সহযোগিতার তাকে ঠাকুরগাঁওয়ের পুনর্জন্ম মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করান বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুনঃ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে

চিকিৎসকরা জানান, ওই শিক্ষার্থী অতিরিক্ত মাদক গ্রহণ করার ফলে এমনটি হয়েছে। সে গাঁজা, ইয়াবা, প্যাথিটিন, ন্যালবান অতিরিক্ত মাত্রাই গ্রহণ করতেন।

তার হলের বন্ধুরা জানায়, গত একমাস ধরে ফারুক (ছদ্মনাম) ভারসাম্যহীন আচার-আচারণ বোঝা যায়। তার বাটন ফোনটি বিক্রি করেও মাদক ক্রয় করেন তিনি। তার বন্ধুরা বলেন, সে গাজা ও ইন্জেকশনের মাধ্যমে প্যাথোটিন নিত। ক্লাস পরীক্ষা বাদ দিয়ে সকালে হল থেকে বেরিয়ে অনেকে রাতে হলে ফিরতো। কাছে মোবাইল না থাকায় সে কোথায় আছে খোঁজ নিতে পারতাম না আমরা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর বিভিন্ন কক্ষে নিয়মিত মাদকের আড্ডা বসে। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে দিনের বেলাতেও মাদকের আসর জমে। বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসব মাদক সরবরাহ করেন বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদক নির্মূলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্যাম্পাসে মাদক প্রাপ্তি সহজ হয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, মাদককে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা উচিত। বিষয়টি নিয়ে আমি খুব শঙ্কিত। এখনই প্রতিরোধ করা না হলে ভবিষৎ এরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। আমি চাইনা শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হয়ে উঠুক।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'আমি মাদকের বিষয়ে অবহিত হয়েছি। ইতোমধ্যে মাদক প্রতিরোধের কাজ শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের প্রভোস্ট ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা বলেছি। এ বিষয়ে শীঘ্রই কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence