ইবিতে ভর্তি হতে বিড়ম্বনায় ভর্তিচ্ছুরা
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:২৩ PM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:২৩ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে সাক্ষাৎকার শেষে ভর্তি হতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। ফি জমা দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা দেখেন একই রসিদে একদিকে পরিবহন ফি এবং অন্যদিকে পরীক্ষার ফি লেখা। তারা এটি কিসের রসিদ বুঝতে পারছেন না। এ রসিদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারাও।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সাক্ষাৎকার শেষে ভর্তি হতে এমনই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের ভর্তিতে বিড়ম্বনায় পড়েন ভর্তিচ্ছুরা।
আরও পড়ুন: শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই ৫৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে
জানা গেছে, ভর্তির সময় সকল কার্যক্রম শেষে ব্যাংকে ফি প্রদানের সময় শিক্ষার্থীদের ‘বেতন জমা দেয়ার রসিদ বহি’ দেওয়া হয়। বহিতে থাকা রসিদের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ও ভর্তি পরবর্তী যাবতীয় ফি পরিশোধ করে থাকেন। এতে শিক্ষার্থীদের পরিবহন ফি প্রদানের রসিদে হিসাব বিভাগের অংশে ‘পরীক্ষার ফি’ লেখা রয়েছে। ফলে বড় ধরণের জটিলতার আশঙ্কা করছেন ব্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তারা।
দুই মাস আগে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য তিন হাজার কপি বহি ছাপানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টিং মেশিন নষ্ট থাকায় সবগুলো বহি বাইরের প্রেস থেকে ছাপানো হয়েছে বলে জানা গেছে। রসিদের এই ভুলকে ‘প্রিন্টিং মিস্টেক’ দাবি করছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। দায়িত্বরতদের ঠিকভাবে তদারকির অভাবে ভুল হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক প্রেস প্রশাসক।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবিতে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকে এগিয়ে মেয়েরা
বহি বানানোর দায়িত্বে থাকাদের একজন একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলিবুদ্দিন খান বলেন, আমরা কয়েকজন বহি বানানোর দায়িত্বে ছিলাম। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসে ছাপানোর জন্য বলে থাকি, তারা ছাপিয়ে দেয়। আমি ভুলটি দেখিনি, শুধু শুনেছি। আমি পারিবারিক কাজে ছুটিতে আছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এমদাদুল আলম জানান, এটার একটা কমিটি ছিল তারা ভুল করেছে। বিষয়টি জানার সাথে সাথে ব্যাংকের ম্যানেজারকে বলেছি, জমা হওয়া রসিদগুলোর ভুল অংশে কলম দিয়ে কেটে ঠিক করতে। এছাড়া একটি সিল বানানোর অর্ডার দিয়েছি। বাকি রসিদ বহিগুলোতে ভুল অংশটি কেটে সিল মেরে দেওয়া হবে।