শিক্ষামন্ত্রী চাইলে জবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ: উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:১০ PM , আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:১০ PM
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চাইলে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। জনস্বার্থে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমরা সেটিকে গ্রহণ করবো।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
এর আগে গত সোমবার (২০ ডিসেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষামন্ত্রী দুটি বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেন। একটি হচ্ছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা। আরেকটি হলো দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতেও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেয়া উচিত: ইউজিসি
সভায় শিক্ষামন্ত্রী জানান, একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু করতে গিয়ে একবারই ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবে এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের যে কথা বলা হচ্ছে সেটি যে পুরোপুরি সঠিক এটি কিন্তু কেউ বলছে না।
একজন শিক্ষার্থী নানা কারণে প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে পারে না। এছাড়া অনেকে আছে যারা পারিবারিক কারণে প্রথমবার কোনো বিশ্ববিদ্যালেয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। তাই বলে কি তাকে আর দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হবে না। এটি কোনো অর্থেই যথার্থ নয়।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের খবরে নাখোশ শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। তবে দেশের কল্যাণে শিক্ষামন্ত্রী কোনো বিষয়ে গুরুত্ব দিলে সেটি অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী চাইলে আমরা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেব।
আরও পড়ুন: গুচ্ছে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ দিতে চান অধিকাংশ উপাচার্য
প্রসঙ্গত দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সর্ব প্রথম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিল করে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।