কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রেমিকার ফাঁদে বাহরাইন প্রবাসী, ছিনতাইকালে আটক ১
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১১:১১ PM , আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১১:৩৫ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী সামাজিক বনায়ন এলাকায় ছিনতাইকারী ও শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ইকবাল হোসেন নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সামাজিক বনায়ন এলাকায় বহিরাগত এক প্রেমিক যুগল ঘুরতে আসলে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সামাজিক বনায়ন এলাকায় ঘুরতে আসেন মুন্সিগঞ্জের বাহরাইন প্রবাসী রাসেল দেওয়ান ও কুমিল্লার চান্দিনার এক ছাত্রী। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ওই ছাত্রী তাকে কুমিল্লায় এসে দেখা করতে বলেন। ওই ছাত্রী তার ছোট বেলার বন্ধু আজহারুল ইসলামকে নিয়ে রাসেলকে ভয় দেখানোর চিন্তা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আজহার ও তার বন্ধু কুবির আইসিটি বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাকিবসহ ৭-৮ জন মিলে রাসেলের ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করেন। এসময় সালমানপুর এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী ইকবাল হোসেন ওরফে টারজান ইকবাল, নয়ন, মিজান ও আলাউদ্দিন এসে রাসেলের ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এসময় বাঁশ ও লাঠি দিয়ে তাদের তাদের মারধরও করা হয়। পরে কুবি শিক্ষার্থীরা এসে টারজান ইকবাল ও আলাউদ্দিনকে মারধর করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। প্রক্টর অফিসে মুচলেকা দিয়ে ওই ছাত্রী ও রাসেল ছাড়া পান। আর ইকবাল ও আলাউদ্দিনকে পুলিশের লাছে সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অধিকাংশ ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে টারজান ইকবাল জড়িত।
এ বিষয়ে বাহরাইন প্রবাসী রাসেল জানান, ওই মেয়ের সাথে আমার ৫-৬ বছরের সম্পর্ক। আমাদের উভয়ের পরিবার বিষয়টি জানে। কিন্তু কেন এমন হলো সেটি বুঝিতে পারছি না।
অভিযুক্ত আজহার ওই ছাত্রীর বিষয়ে জানান, সে আমার বাল্যবন্ধু। তার প্রেমিকের সাথে দেখা করার কথা বলে আমাকে এখানে নিয়ে আসে। ঘটনাটি এতদূর গড়াবে বুঝতে পারিনি।
টারজান ইকবাল বলেন, কয়েকজন মিলে একজন ছেলে ও মেয়ে মারতেছে দেখে আমি, নয়ন ও মিজান তাদের বাঁচাতে ছুটে যাই। আমার গাছের ডাল নিয়ে তাদের বাধা দেই। আমি কারো মোবাইল নেইনি।
এ প্রসঙ্গে কোটবাড়ি ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীরা একজন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে শুনে আমি সেখানে যাই। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। আমরা তাকে থানায় সোপর্দ করেছি।