মেস মালিকের বিরুদ্ধে কুবি ছাত্রীদের হেনস্তার অভিযোগ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

মেসের মালিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ছাত্রীদের হেনস্তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মেস মালিকের নাম মো. আবদুল লতিফ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ও অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক।

গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) মেস মালিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হেনস্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাস এলাকা সংলগ্ন ‘ইঞ্জিনিয়ার বাড়ী’ নামে ওই মেসের ছাত্রীদের বিভিন্ন সময়ে মেস মালিক ও তার স্ত্রী কুরুচিপূর্ণ কথা বলে থাকেন। আমরা মেসে ভালোভাবে থাকার সুযোগ পাই না। মেস মালিক ও তার স্ত্রী বিভিন্ন সময় কারণ ছাড়াই আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। আমরা বিনা কারণে গালি কেনো দিচ্ছে জানতে চাইলে আমাদের মেস থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়৷ ভাড়া দিয়ে থেকেও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, পরীক্ষার সময়ে বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে দেওয়া, পানির ব্যবস্থা বন্ধ করাসহ বিভিন্ন সময়ে অশোভন আচরণ করে থাকেন। এমন মানসিক হেনস্তার ফলে কিছুদিন থাকার পর মেস ত্যাগ করতে বাধ্য হয় ছাত্রীরা। কিন্তু ক্যাম্পাসের আশেপাশে মেস সংকট থাকায় অনেকে বাধ্য হয়ে হেনস্তার পরও এই মেসে থাকতে হচ্ছে।

অভিযোগপত্রে মানসিক হেনস্তার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা লিখেন, আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্রীরা। আমরা প্রত্যেকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার বাড়ি মেস থেকে পড়াশুনা করছি। পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশে এখানে অবস্থান করছি। উক্ত মেসের মালিক মো. আব্দুল লতিফ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার স্ত্রী কর্তৃক আমরা মানসিকভাবে হেনস্তার শিকার। তিনি ও তার স্ত্রী সামান্য কারণে আমাদের পরিবার এবং চরিত্র নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন যা আমাদের জন্যে মানহানিকর। যার ফলে আমাদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে এবং মানসিকভাবে আমরা বিপর্যস্ত। পূর্বে এসব বিষয়ে বাড়ির মালিককে একাধিকবার অবগত করার পরেও আমরা কোনো কার্যকর সমাধান পাইনি।অতএব মহোদয়ের কাছে বিনীত প্রার্থনা এই যে, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এরকম মানসিক হেনস্তার উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে মেস মালিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘অহেতুক বিদ্যুৎ ব্যবহার করা এবং পানির অপচয় করা নিয়ে মাঝেমধ্যে তাদের সাথে কথা হয়। অসময়ে ফ্যান চালিয়ে রাখা, পানির অপচয় করার ফলে আমার স্ত্রীর সাথে হয়তো তাদের কোন বাজে আচরণ হতে পারে। আমি এ ব্যাপার নিয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলবো।’

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, বিষয়টি উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence