জাককানইবিতে ২১ মাসেও হয়নি মাস্টার্সের ফল প্রকাশ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় দুই বছর হতে চললেও এখনো মাস্টার্সের দুই সেমিস্টারের ফল ঘোষণা করছে না জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) অর্থনীতি বিভাগ। মাস্টার্সের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়েছে ২১ মাস আগে, আর দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা ১৬ মাস আগে শেষ হলেও হচ্ছে না ফল প্রকাশ।  

শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া ব্যাচটি প্রথম সেমিস্টার সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর, আর দ্বিতীয় সেমিস্টার সমাপনী পরীক্ষা শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি।

জানা যায়, এই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে জাককানইবিতে ভর্তি হন। নিয়ম অনুযায়ী ২০১৬ বা ২০১৭ সালে চার বছরের অনার্স ও ২০১৮ সালে এক বছরের মাস্টার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে আড়াই বছর বেশি সময় কেটে গেলেও তাঁদের মাস্টার্সের ফল প্রকাশ হচ্ছে না। বিভাগের শিক্ষকদের অবহেলায় ফল আটকে আছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ করে বলেন, পড়াশোনা করতে করতেই যদি চাকরির বয়স পেরিয়ে যায় তাহলে আর পড়াশোনা করে লাভ কী? এ সমস্যার জন্য দায়ী বিভাগের শিক্ষকেরা। বিভাগের চেয়ারম্যান, উপাচার্যও এর দায় এড়াতে পারেন না। শুধু করোনার কারণে নয়, এই সমস্যা অনেক পুরোনো। বিভাগের শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে অর্থনীতি বিভাগে দীর্ঘদিনের এ সমস্যা কাটছে না। ২০১২ সালে অনার্সে ভর্তি হয়ে আট বছরেও মাস্টার্সের ফল পাইনি!

এ বিষয়ে জানতে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাড়া দেননি। বিভাগের অন্য শিক্ষকদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা এড়িয়ে যান। এর মধ্যে আবার একাধিক শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো ওই ব্যাচের পরীক্ষার কোনো তথ্য বা ফাইল এসে পৌঁছায়নি। আমাদের এখানে আসার ১৫ দিনের মধ্যে আমরা সব কাজ শেষ করি। এখানে ফাইল না আসলে আমাদের কিছু করার থাকে না। এগুলো বিভাগ থেকে আমাদের কাছে না আসলে কেমনে ফলাফল প্রকাশ করব?’

এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে এটাকে শিক্ষকদের গাফিলতি বলা যায় না। মূলত বিভাগের সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরের সময়ের সামঞ্জস্য রাখা সম্ভব না হওয়ায় একটু দেরি হতে পারে।’

তবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘এমন দীর্ঘসূত্রতা কখনো কাম্য নয়। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত। দ্রুত ফল প্রকাশ করার জন্য বলে দিয়েছি।’

আরও দেখুন: 

রাতে ঢাবির হলে হলে তল্লাশি পুলিশ-প্রশাসনের

অভিযানের পর ঢাবির দুই হলের ৬ রুম সিলগালা


সর্বশেষ সংবাদ