কোষাধ্যক্ষ পদে আমলা নিয়োগ, বেরোবি শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ মে ২০২১, ০৫:৩১ PM , আপডেট: ০৮ মে ২০২১, ০৫:৪২ PM
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক এক অতিরিক্ত সচিবকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান গতকাল শুক্রাবার লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানান।
এর আগে গত ৫ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবদুল মাননানকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করেছে সরকার।
বেরোবি শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘শিক্ষক ছাড়া একজন সাবেক কর্মকর্তাকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগের ঘটনা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার সাথে শুধু অসঙ্গতিপূর্ণ নয়, একই সঙ্গে তা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ।’ এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখন একটি মহল তাঁর অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও অসাধু উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ ধরনের নিয়োগ আদেশ প্রদানের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে। এমন নিয়োগ বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অসামান্য অবদানকে বিতর্কিত করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অস্থিতিশীল করবার অপচেষ্টায় লিপ্ত একটি গোষ্ঠীর অশুভ পায়াতারার ফসল বলেও তাঁরা মনে করেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়াতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিষ্মিত, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ বলে উল্লেখ করে ওই প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, এ ধরণের একটি অনুপযুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মানও মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই আদেশ প্রত্যাহার করে একজন স্বনামধন্য শিক্ষককে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের দাবি জানান বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এর ব্যত্যয় হলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিসমূহের সাথে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তাঁরা। একই সাথে এটিকে ন্যাক্কারজনক ঘটনা উল্লেখ করে এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করা হয় বেরোবি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে।