ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি

  © ফাইল ফটো

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক ঐক্য। শুক্রবার এক বিবৃতিতে আটককৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

বিবৃতিতে তারা বলেন, দুঃখের সাথে লক্ষ্য করলাম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, ছাত্র, কার্টুনিস্ট, সংবাদকর্মী, রাজনীতিবিদ, এমনকি ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কোন কোন ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্ববাসীর চোখে ক্ষুণ্ণ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি বহুমাত্রিক, উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আকাঙ্খা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। স্বাধীন বাংলাদেশের সকল নাগরিক তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার নির্বিঘ্নে চর্চা করবেন, রাষ্ট্র সকল নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবে এই আমাদের চাওয়া। কিন্তু আজ গভীর উদ্বেগের সাথে আমরা লক্ষ্য করছি, নির্দ্বিধায় মত প্রকাশের নাগরিক অধিকার সংকুচিত হয়ে পড়ছে।

এতে আরও বলা হয়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সমালোচনা একটি নৈমিত্তিক চর্চা। একটি গণতান্ত্রিক সরকার এই সমালোচনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ক্ষমতা প্রদর্শন করে না। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-ছাত্রসহ সকলের আশু মুক্তি দাবী করছি। এ ব্যাপারে সরকার একটি কল্যাণকামী ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, এই আমাদের প্রত্যাশা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন, অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব, অধ্যাপক ড. আফরীনা মামুন, অধ্যাপক ড. মো. আক্তার আলী, অধ্যাপক ড. দিল আরা হোসেন, অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, অধ্যাপক ড. আহমেদ ইমতিয়াজ, অধ্যাপক মো. রিজু খন্দকার প্রমূখ।


সর্বশেষ সংবাদ