সাত কলেজ উন্নয়নের অন্তরায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়
- এস এম জুয়েল
- প্রকাশ: ০৪ জুন ২০১৯, ০৬:০০ PM , আপডেট: ১২ জুন ২০১৯, ০৮:৫৩ AM
সাত কলেজের উন্নয়ন হলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। যেমন ধরেন সাত কলেজের শিক্ষাগত উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে বেশিরভাগ মেধাবি শিক্ষার্থীরা সাত কলেজ রেখে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দিকে ধাবিত হবে না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীরা যেসব ভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন মনে করে, সাত কলেজের উন্নয়নে তারা এসব সাত কলেজেই পেয়ে থাকবে।
বিশেষ করে ঢাকাবাসী শিক্ষার্থীরা ঢাবি/জাবি কিংবা জবির পরেই এই সাত কলেজকে বেছে নিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী হারাচ্ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষা হলে ইনভিজিলেটর কিংবা ভাইবাবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করার মত আর্থিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন। কারণ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সময় দেওয়ার চেয়ে উনারা সান্ধ্যকালীন কোর্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বেশি। তার উপর কেউ সাত কলেজের দায়িত্বে থাকলে তো আর্থিক সুযোগ-সুবিধাটাও বেশ নগন্য হবে।
তাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনেক সময় ক্লাসে পাঠদানে পরোক্ষভাবে নিজ শিক্ষার্থীদের এই সাতকলেজ সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য প্রদান করে থাকেন। যা পরবর্তীতে পাবলিকের ঐসব শিক্ষার্থীকে সাত কলেজ নিয়ে ব্যঙ্গ করে ট্রল করতে অনুপ্রাণিত করে।
আবার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক কর্তৃপক্ষও চান না এই কলেজগুলোর উন্নতি হোক। এখন আপনি চিন্তা করুন সমস্যাটা কত জটিল। তাই শিক্ষা এখন আর মৌলিক অধিকার নয়, অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক অধিকারে পরিণত হয়েছে বললেও ভুল হবে না।
শিক্ষার্থী: এমএসসি, ডিপার্টমেন্ট অফ ফিজিক্স, বুয়েট