দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৯ PM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৭:২৪ AM
গতকাল বুধবার (২৭ আগস্ট) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত ‘আবেদনের যোগ্যতাই নেই, অথচ ১০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক!’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) পাঠানো একটি প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, সংবাদটিতে আমার বিষয়ে অভিযোগ আকারে কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা সত্য নয় এবং ভিত্তিহীন।
প্রকাশিত এই সংবাদে তার কয়েকটি পর্যবেক্ষণ রয়েছে উল্লেখ করে ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ তার প্রতিবাদলিপিতে বলেন, সংবাদটিতে আবেদনের শর্ত পূরণ না করেই আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। অভিযোগটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন কোনো ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম না। আমি একটি জাতীয় দৈনিকের সহ-সম্পাদক ছিলাম, ছাত্র বয়সে। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগের জন্য কোনো সুপারিশ বা প্রভাব আমার নিয়োগে ছিল না। আমি ছাত্র বয়স থেকেই লেখালেখির সাথে যুক্ত। ইতোমধ্যে আমার গবেষণা, গল্প, উপন্যাস মিলিয়ে ১৩টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি আরও বলেন, সংবাদটিতে নম্বর টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে এক ছাত্রীকে নিজ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আমার বক্তব্য হচ্ছে, অভিযোগটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা এবং কল্পনাপ্রসূত। যার বাস্তব কোনো ভিত্তি বা যৌক্তিকতা নেই। বিশেষ যোগ্যতা নির্ধারণে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে বই প্রকাশিত হতে হবে এমন কোন শর্ত ছিল না। শর্তটি ছিল, 'স্বীকৃত প্রকাশনা থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গ্রন্থ থাকলে যেকোনো একটি যোগ্যতার শর্ত শিথিলযোগ্য।' ইতোপূর্বে স্বীকৃত প্রকাশনা বেহুলা বাংলা থেকে 'ফোকলোরের প্রথম পাঠ' শিরোনামে আমার একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত শর্ত পূরণ করেই আমি আবেদন করি। আমি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম হয়ে এবং নিয়োগের সব শর্ত পূরণ করে প্রভাষক স্থায়ী পদে যোগদান করি, এবং নিয়োগকৃত দুজন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম হই। আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে নিয়োগের তথ্যটিও সম্পূর্ণ অপপ্রচার। উল্লেখ্য, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মেনেই বিশেষ যোগ্যতার নিয়োগের উদাহরণ আরো কয়েকটি বিভাগে রয়েছে।
ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান পরীক্ষা পদ্ধতি ও খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী একজন শিক্ষক কখনোই কোন শিক্ষার্থীকে ১ম বানাতে পারেন না। প্রতি সেমিস্টারে আলাদা আলাদা শিক্ষকের কোর্স থাকে। সব কোর্সে ভালো ফল করলেই কারো পক্ষে ১ম হওয়া সম্ভব। যে শিক্ষার্থীর কথা বলা হয়েছে, সেই শিক্ষাবর্ষে এমএসএস শ্রেণিতে দুই সেমিস্টারে আমার মাত্র ১টি কোর্স ছিল। ভাইভা ছাড়া অন্য সব কোর্স বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক গ্রহণ করেছেন। ফলে, অভিযোগটি সম্পূর্ণ অবান্তর ও ষড়যন্ত্রমূলক।
‘‘এছাড়া নাম্বার টেম্পারিংয়ের অভিযোগে কোনো শিক্ষাবর্ষে আমার কোনো কোর্স বাতিল হয়নি। বরং কয়েকজন শিক্ষার্থী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিল। আমি ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে নিজেই একটি সেমিস্টারে কোর্স ছেড়ে দিই। যেন পরবর্তীকালে আমাকে জড়িয়ে ফলাফল নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ না থাকে।’’