নিয়োগ বোর্ডে ফার্স্ট হলেও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এড়াতে পদত্যাগ করলেন উপাচার্যের ছেলে

ফাতিন ইলহাম বিন পেয়ার
ফাতিন ইলহাম বিন পেয়ার  © লোগো

নিয়োগ বোর্ডে ফার্স্ট হলেও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এড়াতে যোগদানের তিন দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) মেডিকেল কর্মকর্তা ফাতিন ইলহাম বিন পেয়ার। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) পদত্যাগ করেন তিনি। এর আগে গত ১০ আগস্ট তাকে এই পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরের দিন ১১ আগস্ট তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস আদেশ থেকে এক জানা গেছে, একান্ত ব্যক্তিগত কারণে বুধবার চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য ফাতিন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর একটি আবেদন দেন। পরে এই অব্যাহতিপত্রটি বিবেচনায় নিয়ে অব্যাহতি মঞ্জুর করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং তাকে ওইদিনই চাকরি হতে অব্যাহতি প্রদান করেন। ফাতিন বেসরকারি এমএইচ শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমার ছেলে নিজ যোগ্যতায় পরীক্ষার মাধ্যমে যোগদান করেছেন। উপাচার্যের ছেলে হওয়ায় তার নিয়োগ নিয়ে যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে তাই আমার ছেলে আমার সুনাম রক্ষার্থে পদত্যাগ করেছে। আমিও এতে সম্মত হয়েছি। তবে এই নিয়োগে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না।

প্রসঙ্গত, গত ১২ আগস্ট দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেলেন ছেলে, উপাচার্য বললেন স্বজনপ্রীতি হয়নি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদ বলেছিলেন, ‘মেডিকেল অফিসার পদে আমার ছেলে প্রার্থী হওয়ায় আমি লিখিতভাবে আরেকজনকে সভাপতি বানিয়েছি। আমার ছেলে লিখিত এবং ভাইভাতে প্রথম হওয়ায় নিয়োগ পেয়েছে। এখানে স্বজনপ্রীতির কোনো বিষয় নেই। নিয়োগে আমার কোনো প্রভাব ছিল না।’


সর্বশেষ সংবাদ