আন্দোলনের মুখে হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তিতুমীর কলেজ প্রশাসনের
- তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০৮:১২ PM , আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫, ০৮:৫২ PM
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের নির্মাণাধীন শহীদ মামুন হল খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কলেজ প্রশাসন অবশেষে হলটি আংশিকভাবে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ২টায় হলসংক্রান্ত উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কলেজ প্রশাসনের উদ্যোগে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আলোচনা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে শহীদ মামুন হল নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে আংশিকভাবে খোলার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শহিদ মামুন ছাত্রাবাসের নির্মাণকাজ আগামী ৩০ মে’র মধ্যে সম্পন্ন করে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার প্রতিশ্রুতি দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আগামী ২৫ মে প্রকাশ করা হবে শহিদ মামুন ছাত্রাবাসে সিটপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদেরকে ৪ জুনের মধ্যে নির্ধারিত অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা হোস্টেল ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি পরিশোধ না করলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
সভায় ১ জুন ২০২৫ তারিখে শহিদ মামুন ছাত্রাবাসের শুভ উদ্বোধন এবং ১ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক বসবাস শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও আক্কাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাসে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওয়ার্ক অর্ডার প্রাপ্তির ৯০ দিনের মধ্যে আবাসিক ব্যবস্থা চালু করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এদিকে, প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শহীদ মামুন হল দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবিতে চলমান অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, আশা করি কর্তৃপক্ষ যে সব সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে তা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে তারা আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
সভায় কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ছদরুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক, কলেজের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও হোস্টেল পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দসহ সকল হোস্টেল সুপার এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা।