আসিফ নজরুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানালেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩০ AM , আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৪ AM

এবার নতুন করে তিন দফা ঘোষণা করছেন তিতুমীর কলজের শিক্ষার্থীরা। এই দাবিগুলোর মধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির দায়ভার মাথায় নিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় কলেজের মূল ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তার।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই শাটডাউন থাকবে কলেজ। এর আওতায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এমনকি কাউকে ভেতরেও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে শাটডাউন চলাকালীন কেউ চাইলে ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজায় অংশ নিতে পারবেন বলেও জানান এ শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু রাষ্ট্র বারবার দ্বিচারিতা করছে। সেজন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য তিতুমীর কলেজে শাটডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। এসময়ের মধ্যে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা কিংবা একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম হবে না। যদি এসময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করা হয় তবেই তিতুমীরের গেটের তালা খোলা হবে। আগামীকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার না হয় কিংবা দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে এরপর আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমরা পড়ার টেবিলে ফিরতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে–
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করে যোগ্যতা বিবেচনায় নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
৩. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আইন উপদেষ্টার চাপ সৃষ্টি করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির দায়ভার মাথায় নিয়ে আইন উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন তারা। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।