গুমের শিকার নেতাকর্মীদের ফেরত চেয়ে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ PM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ PM
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে গুমের শিকার ছাত্রদলের সকল নেতাকর্মী ও নাগরিকের সন্ধান দাবিতে এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মম হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ, সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, আহসান হাবীব, নুরুরদ্দিন, রাফিজ সহ শাখা ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
এসময় নেতাকর্মীদের হাতে আমার মাটি আমার মা, আয়নাঘর হবে না; মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার চাই; গণহত্যাকারী হাসিনার ফাঁসি চাই; গুমের শিকার সকালের সন্ধান চাই; ইলিয়াস আলীকে ফেরত চাই; চৌধুরী আলমকে ফেরত চাই ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘গত ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে একটি কারাগারে রূপান্তরিত করেছিলো। তারা শুধু হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই থেমে থাকেনি, গণহত্যা চালিয়েছে। পাশাপাশি যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলে সর্বশেষ পন্থা হিসেবে গুমকে বেছে নিয়েছে। এসব গুমের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশকে গুমের রাজ্যে পরিণত করেছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। এই গুমের শিকার হয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীও। ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে অতি দ্রুত পতিত শেখ হাসিনা সরকারকে দেশে ফিরিয়ে দিন। শত শত ভাই বোনদের আহাজারি সহ্য করতে পারছি না। অতি দ্রুত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার দেখতে চাই।’
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘খুনি হাসিনা ২৬৯৯ জন কে বিনা বিচারে হত্যা করেছে, ১৬৭৭ জন বিএনপির সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে, ৬৭৭ জন গুমের শিকার হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী এখনো গুম রয়েছে। সিলেটের এম ইলিয়াস আলী, কমিশনার চৌধুরী আলম, সুমন, সুজনের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। আজকে মানবাধিকার দিবসে বর্তমান সরকারের কাছে আমরা খুনি হাসিনার বিচার চাই। ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল লড়ছে। দেশের কল্যাণে, দলের কল্যাণে, জনগণের কল্যাণে আমাদের জীবন দিতে আমরা একটি পা ও পিছপা হবো না।’