ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ PM , আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৩০ PM
কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি’র ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয়ে কেক কাটার মধ্য দিয়েে এ দিনটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে টিএসসির সামনে ফলদ ও বনজ বৃক্ষরোপণ করে সংগঠনের সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সচিব ফারহানা নওশীন তিতলী, সদস্য শাহীন আলম, শাহরিয়ার কবীর রিমন, সামি আল সাদ আওন, খলিলুর রহমান জিম, যায়িদ বিন ফিরোজ, সাকিব আসলাম প্রমুখ।
ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক যে সংবাদগুলো তোমরা বিভিন্ন পত্রিকা কিংবা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে প্রচার করছ, এটি পুরো বাংলাদেশ তথা বৈশ্বিকভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি বাড়ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যা করছি, তা সবাই জানতে পারছে। এই ধারা আরও শাণিত হোক।’
আরও পড়ুন: এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে এলো শিবির
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে ঐতিহ্যের অধিকারী ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির গত ৬ বছরের পদচারণা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইতিবাচক এবং সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। এদিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সঙ্গে তোমরা যুক্ত হয়ে গেছো। সাংবাদিক হিসেবে তোমরা পেশাদারিত্বের পরিচয় দেবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবে। তোমাদের প্রতি আহ্বান থাকবে নেতিবাচকের পাশাপাশি ইতিবাচক বিষয়গুলোও তোমরা দেখবে এবং ছাত্র ও সাংবাদিক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উন্নতি ও অগ্রগতির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির শুভলগ্নে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি প্রক্টরের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমার মনে হয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের সাথে আমার সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে ভালো কাজের ক্ষেত্রে রিপোর্টার্স ইউনিটির একটা ইতিবাচক ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি। আশা করি জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারন করে নতুন করে সাহস সঞ্চয় করে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করে রিপোর্টার্স ইউনিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
রিপোর্টার্স ইউনিটির আহ্বায়ক তারিক সাইমুম বলেন, ‘সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে রিপোর্টার্স ইউনিটি স্বচ্ছতার জায়গায় অটুট ছিল। ‘সত্য সন্ধানে মুক্ত কলম সৈনিক’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই সংগঠনের প্রতিটি সদস্য লেখনীর মাধ্যমে দেশ ও জাতি বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন বছরে পদার্পণের মাধ্যমে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের মাধ্যমে নতুন দ্বার উন্মোচিত হোক এবং সর্বক্ষেত্রে নতুন সংস্কারের ছোঁয়া পৌঁছে যাক সেই কামনা করি।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর সত্য সন্ধানে মুক্ত কলম সৈনিক স্লোগানকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করে ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি। প্রতিষ্ঠার স্বল্প সময়ের মধ্যেই সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সবার আস্থার প্রতীক হিসেবে স্থান করে নিয়েছে সংগঠনটি।