খুবির ভাবমূর্তি রক্ষায় তথ্যভিত্তিক সংবাদ গুরুত্বপূর্ণ: অধ্যাপক রেজাউল করিম

খুবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে মতবিনিময়
খুবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে মতবিনিময়  © সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সংবাদ হওয়া উচিত অত্যন্ত তথ্যভিত্তিক। লেখার মান ঠিক রেখে তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশন করলে সাংবাদিকতায় নিজেদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (খুবিসাস) সঙ্গে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, সবার আগে আমাদের পরিচয় আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি ধরে রাখা সকলের দায়িত্ব। শিক্ষার্থীরাই সাংবাদিক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাল-মন্দ বিভিন্ন দিক গণমাধ্যমে তুলে ধরে। এক্ষেত্রে সবার আগে ক্রস চেক করে অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি এডুকেশন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ, গবেষণাসহ ছাত্র-শিক্ষক সম্পৃক্ততা বেশি এমন বিষয় গণমাধ্যমে তুলে ধরা উচিত। এজন্য কেইউ-অ্যাক্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, বোর্ড অব এডভান্সড স্টাডিজসহ বিভিন্ন বিধিবদ্ধ সংস্থার কার কী কাজ বা করনীয় এ বিষয়ে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের জানা উচিত। যাতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ সম্পর্কে গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত বিভিন্ন দাবি এবং সমস্যার কথা তারা গণমাধ্যমে তুলে ধরে সম্ভাব্য সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণের বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় পেশাগত দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় কিংবা পিআইবির সাথে যোগাযোগ করে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব গ্রহণের পর সবার আগে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বারোপ করেছি। এরপর থেকে নিয়মিত হল পরিদর্শন, হলের ক্যান্টিনের খাবারের মান যাচাইসহ শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে তদারকি করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সবকিছু করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন: স্থবির ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, অভিভাবকহীন সারাদেশের ১৫৬৪ মাদ্রাসা

এ সময় খুবিসাস সদস্যরা বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি অটুট থাকুক এমন সংবাদ পরিবেশন করে। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের দাবি, অভিযোগ, বিভিন্ন কাজে ত্রুটি বা অনিয়ম থাকলে গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে তা তুলে ধরে। এক্ষেত্রে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যাতে কোনো দূরত্ব না থাকে সে বিষয়ে অধ্যাপক রেজাউল করিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

তিনি এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আশস্ত করেন, এখন থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো দূরত্ব থাকবে না। প্রয়োজন হলে তারা আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান। খুবিসাসের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সভাপতি একরামুল হক, সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার, মুহিব্বুল্লাহ, আলকামা রমিন, মিরাজুল ইসলাম, ফারুক খান, ইব্রাহিম খলিল, হাবিবুল্লাহ খান ও অর্ক মন্ডল।


সর্বশেষ সংবাদ