বিদ্যুৎহীন ইবি ক্যাম্পাস, খাবার সংকটে শিক্ষার্থীরা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ক্যাম্পাসের একাধিক গাছ উপড়ে যেতে গেছে
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ক্যাম্পাসের একাধিক গাছ উপড়ে যেতে গেছে  © টিডিসি ফটো

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ইসলামী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাসের একাধিক গাছ উপড়ে গেছে। ফলে ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ক্লাস পরীক্ষা চলমান ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অধিকাংশ খাবারের দোকান বন্ধ থাকায় খাবার সংকটে পড়েছেন তারা।

সোমবার (২৭ মে) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ঝড়ের গতিবেগ। এর মধ্যেও ক্লাস পরীক্ষা চালু থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়,  ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, জিয়া মোড়, বঙ্গবন্ধু হল, লেক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নির্মাণ শ্রমিকদের আবাসস্থলের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় ছাতা থাকলে ভিজে ক্লাস-পরীক্ষায় উপস্থিত হতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

এছাড়া রবিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় হলগুলোতে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে এবং পাশের বাজারে হোটেলগুলো বন্ধ থাকায় খাবার সংকটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেটের একটি খাবারের দোকান খোলা থাকলেও দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। হোটেলটির খাবার দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ায় ফিরে যেতে দেখা যায় অনেককে। হলে বিদ্যুৎ না থাকায় খাবার রান্না করতে না পারায় অনেকে রুটি খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে অনেকের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুনুর রহমান বলেন, হলে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ নাই। টয়লেটে পানিও নাই। বাহিরে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এরমধ্যে অনেকেরই ক্লাস-পরীক্ষা আছে। পানি না থাকায় সকালে উঠে ফ্রেশ হওয়া ও গোসলটাও করতে পারছি না। সব মিলিয়ে খুব বাজে পরিস্থিতির মধ্যে আছি।

তবে ক্লাস-পরীক্ষা স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান। তিনি বলেন, স্বাভাবিক ভাবেই ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। আমাদের এখানে খুব বেশি প্রভাব নাই। পরে যদি পরিস্থিতির অবনতি হয় তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী শরিফ উদ্দিন বলেন, ঝড়ের কারণে ক্যাম্পাসসহ আশেপাশের এলাকায় গাছ উপড়ে যাওয়ার কারণে অনেক জায়গায় বিদুৎয়ের তার কেটে গেছে। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। হয়ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সময় লাগবে।


সর্বশেষ সংবাদ