প্রত্ন-গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে কুবি শিক্ষকরা: উপ-উপাচার্য

আন্তর্জাতিক সেমিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী
আন্তর্জাতিক সেমিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী  © জনসংযোগ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন গবেষকরা প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এই ধারা অব্যাহত থাকলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আরো এগিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি, ধর্ম ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর পট পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ের গবেষণায়ও বিভিন্ন পরিবর্তন আসছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন গবেষকগণ যেভাবে প্রত্ন গবেষণায় মনোযোগী হয়েছে তা খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী দশ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ দেশের অন্যতম সেরা বিভাগ হিসেবে বিবেচিত হবে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকটের বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সংকটকাল চলছে। তবে সেটা কেটে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ক্রান্তিকাল যেন দ্রুতই কেটে যায়।

এসময় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন সৌরভের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাফরিজা শ্যামা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনেওয়াজ চৌধুরি। এবং কি-নোট স্পীকার হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মনজিল হাজারিকা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাফরিজা শ্যামা বলেন, আমাদের কাছে টাকা আছে। আমাদের গবেষণা দরকার। কিন্তু সকল গবেষণা আমরা গ্রহণ করি না। গবেষণা হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের। আপনারা গবেষণা করুন, যত ধরনের সহযোগিতা লাগে আমরা করবো।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনেওয়াজ চৌধুরি বলেন, একটা সময়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে বৌদ্ধদের বিহার ছিল অন্যতম। এখানে এমন কোনো বিষয় ছিল না যা পড়ানো হতো না। শিক্ষার ক্ষেত্রে ইউরোপের চেয়ে কুমিল্লাসহ এই অঞ্চলের শিক্ষার ধারা ছিল উন্নত। কারণ সপ্তম-অষ্টম শতকে শালবন বিহার, আনন্দ বিহার, রুপবান মুড়া এসব ছিল আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়। আর অন্যদিকে হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড ছিল বারো শতকের। যা থেকে জানা যায় এশিয়া শিক্ষার ক্ষেত্রে কতটুকু এগিয়ে ছিল।

এছাড়াও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে কাজ করেন এমন ভারতীয় অধ্যাপক, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (চট্টগ্রাম), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ময়নামতি জাদুঘরের কর্মকর্তারা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence