দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ববির ছয়দফা এনআরবিসি স্কয়ারের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন 

নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
নির্মাণ কাজের উদ্বোধন  © টিডিসি ফটো

দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছয়দফা বেদির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ছয়দফা এমআরবিসি স্কয়ারের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন বরিশাল সিটি করপোরেশন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার তত্ত্বাবধায়নে ছয়দফা-এনআরবিসি স্কয়ারের কাজ বাস্তবায়ন করবেন এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল। 

২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘদিন থেকেই ছয়দফা বেদিটি বেহাল দশায় পড়ে ছিল । ছয়দফা বেদি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনো ম্যুরাল বা ভাস্কর্য। তাই দীর্ঘদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ব্যানার কাগজে তৈরি ছয় দফা বেদির জায়গায় স্থায়ী বেদি নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু সেই দাবিতে টনক নড়েনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। হতাশ হয়ে এক পর্যায়ে স্থায়ী বেদি নির্মাণের দাবি ছেড়েই দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ শিক্ষার্থীদের আশার বাণী দেন বর্তমান উপাচার্য। 

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাব্বি হাসান জানান,বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থাপিত ছয় দফা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সেই সুবাদে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী ছয় দফা বেদি তৈরি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন আমাদের পক্ষ থেকে দাবি ছিল এটা স্থায়ী ও উন্নত করার জন্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি আগের উপাচার্য স্যার সেটা আমলে নেননি। আমি বর্তমান উপাচার্য স্যারকে সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এই জন্য যে স্যারের হাত ধরে শিক্ষার্থীদের সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে। আশা রাখি অতিশীঘ্রই এটি বাস্তবায়িত হবে। 

ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরি বলেন, ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফার মাধ্যমে যে স্বায়ত্তশাসনের দাবি করেছিলেন তার মাধ্যমে তিনি পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার দাবি করেছিলেন। ছয় দফার মাধ্যমে বাঙালিদের মাঝে যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ও ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযু্দ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়। সুতরাং ছয় দফার গুরুত্ব অপরিসীম। 

তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়দফার স্মরণে কোনো বেদি বা ভাস্কর্য আছে বলে আমার জানা নেই।এটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পাবে,বর্তমান প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমি উপাচার্য মহোদয়, মেয়র মহোদয় এবং এনআরবিসি ব্যাংকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

উদ্বোধনকালে বরিশাল সিটি করপোরেশন এর মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) বলেন-আমাদেরকে  ইতিহাস জানতে হবে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। জানতে হবে বাঙলীর সঠিক ইতিহাস। কারণ ইতিহাসই একটি জাতিকে সমৃদ্ধ করে। যে জাতি যত সমৃদ্ধ তাদের ইতিহাসও তত সমৃদ্ধ। আমরা যদি বাঙালিদের সুদীর্ঘ ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি তাহলে জাতি হিসেবে আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।

 

সর্বশেষ সংবাদ