ভালোবাসা দিবস এতিমশিশুদের সাথে উদযাপন হাবিপ্রবির ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১০ AM , আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৫ AM
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ”সবার জন্য ভালোবাসা” শ্লোগানকে সামনে রেখে সুবিধাবঞ্চিত এতিমশিশুদের নিয়ে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করলো হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ভালোবাসা দিবসে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হওয়া এ প্রোগ্রামের এবছর ৫ম পর্ব উদযাপিত হয়।
দিনাজপুরেরর কাঞ্চন কলোনী এলাকায় দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-ই-নেছারিয়া দাউদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোডিং এবং এতিমখানার শিশুদের নিয়ে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। ফিন্যান্স বিভাগের প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী ও ১ জন শিক্ষক নিয়ে সকালে এতিমখানার পৌঁছানোর সাথে সাথে সকলকে কাছে পেয়ে উচ্ছসিত হয় এতিমখানার সকল শিশুরা। এসময় এতিমখানার সকল শিক্ষক ও শিশুদের সাথে কুশল বিনিময়ের পর তাদের নিয়ে আল-কুরআন হিফজ প্রতিযোগিতা, ইসলামিক কুইজ প্রতিযোগিতা হামদ, নাত ও গজল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণীর পর দুপুরে মাদ্রাসার প্রায় একশত শিক্ষার্থীর দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও তাদের শিক্ষাসামগ্রী কলম ও চকলেট উপহার দেওয়া হয়। এমন উপহার সামগ্রী আর সবাইকে কাছে পেয়ে উচ্ছসিত এতিমখানার সকল শিশুরা। এমন আয়োজনে খুশি হয়ে আয়োজকদের প্রতি শুকরিয়া ও আয়োজক সকলের সুস্বাস্থ ও নেক দীর্ঘ হায়াত কামনা করে দুআ করেন মাদ্রাসার শিক্ষকগণ।
ব্যতিক্রমী আয়োজন এ আয়োজন সম্পর্কে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক শাকিলা যাবিন বলেন, প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে স্মরনীয় করে রাখতে হাবিপ্রবির ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ " সবার জন্য ভালোবাসা" শীর্ষক একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যেগ গ্রহন করে। যেখানে সুবিধাবঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া এতিম শিশুদের নিয়ে দিনটি আয়োজন করা হয়। শিক্ষক - শিক্ষার্থীদের প্রত্যেক্ষ, পরোক্ষ সহোযোগিতার মাধ্যমে আয়োজন সফল হয়।এধরনের প্রোগ্রামে যুক্ত হতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আশা করছি এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
আয়োজন সম্পর্কে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২১ ব্যাচ এর শিক্ষার্থী মো. আব্দুল মালেক বলেন, এতিম, অবহেলিত শিশুদেরকে দিনটি খুব ভালোভাবে উপভোগ করানোর জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।যাতে ওরাও বিশেষ দিনটিতে আনন্দিত থাকতে পারে।