বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবি ববি শিক্ষার্থীদের

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

প্রতি বছরের মতো এবারও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি হলে ১৬ ডিসেম্বর প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। তবে এবারের আয়োজনে উঠে এসেছে ভিন্নধর্মী এ প্রতিবাদ। প্রীতিভোজের এ অনুষ্ঠানে সেভেন আপ, স্প্রাইটসহ কয়েকটি কোম্পানির কোমল পানীয় বয়কটের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ পানিয়গুলোর প্রস্তুতকারক কোম্পানি চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের ভষ্য, ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ হলগুলোতে ১৬ ডিসেম্বরের ফিস্টে সেভেন আপ, কোকাকোলা, স্প্রাইট, মাউন্টেন ডিউ পানীয় বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এ দাবির জানান দিয়েছেন তারা। গত কয়েকদিনে ফেসবুকে শেয়ার করা প্রায় ২৫টি স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করে এমনটি দেখা যায়। এতে বিকল্প হিসেবে অন্য পানীয় চেয়েছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে নিজেদের বিজয়ের দিনে আরেক দেশের নিপীড়িতদের বিজয় বা তাদের ওপর চলমান নিপীড়ন কমাতে এ পদক্ষেপ নিতে শিক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান ছাত্র-ছাত্রীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র শামীম আহসান বলেন, আবাসিক হল কর্তৃক বিজয় দিবসের প্রীতিভোজে দখলদার আগ্রাসী ইসরায়েলি পানীয় আমরা বর্জনের মাধ্যমে বিজয় দিবসে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে চাই। পাশাপাশি তাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি, অন্যায়ভাবে আক্রমণ-হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি চাই। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায়ও ইসরায়েলি পানীয় বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান করছি।

আরেক আবাসিক ছাত্র আসিফ বিল্লাহ বলেন, ‘ইজরায়েল ফিলিস্তিনের ওপর যেভাবে নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে, সেটা অবশ্যই অমানবিক। তাই আমরা এর প্রতিবাদে ইসরায়েল সমর্থনকারী কোম্পানির পণ্যকে বয়কট করে আমাদের দেশি পণ্যকে ব্যবহার করতেই পারি।’

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আরিফ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, শিক্ষার্থীরা এমন কোনো দাবি আমাদের কাছে করেনি। ইতোমধ্যে আমরা কোমল পানীয় ক্রয় করেছি, এখন আর পরিবর্তনের সুযোগ নেই।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আয়োজিত বিজয় দিবসের প্রীতিভোজে ইসরায়েল সমর্থনকারী কোম্পানির বাজারজাতকৃত পানীয় বয়কটের দাবি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাবি প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নিগার সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থী এবং হল প্রশাসন যদি চায় তাহলে তারা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। এটা শিক্ষার্থী এবং হল প্রশাসনের বিষয়।


সর্বশেষ সংবাদ