ভূমিকম্পে কুবির তিন হলে ফাটল, শিক্ষার্থীদের ছোটাছুটি-আতঙ্ক
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১১ PM , আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫৯ PM
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৬। ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ছেলেদের দুইটি ও মেয়েদের একটি হলে ফাটল দেখা দিয়েছে। তীব্র কম্পনে হলগুলো কাঁপতে শুরু করলে শিক্ষার্থীরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। পরে হলের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখতে পান শিক্ষার্থীরা। ভূমিকম্পের সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গেছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫মিনিটের দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া মেয়েদের শেখ হাসিনা হলের রিডিং রুমেও হালকা ফাটলের দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু হলের পাঁচতলার দক্ষিণ পাশের ব্লকের ৫০৪ নম্বর কক্ষের সামনের করিডরের মেঝের দুটি টাইলস উঠে গেছে। একই তলায় নতুন ও পুরাতন ব্লকের সংযোগস্থলের করিডরে ফাটল দেখা গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ২০৪ ও ২০৫ নং কক্ষের মাঝের সংযোগস্থলে পুরো পাঁচতলায় ফাটল তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া ২০৯নং কক্ষেও ফাটল দেখা যায়।
নজরুল হলের দোতালার ২০৭ নম্বর কক্ষের দেয়ালে, টিভি রুমের সামনের পিলারের সংযোগস্থলে; ফয়জুন্নেছা হলের পাঁচতলার ৫১১ নম্বর কক্ষে, ৫০৩ নম্বর কক্ষের ফাটল ও চারতলার ৪০৩ নম্বর সামনের করিডরে ফাটল দেখা গেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ভারী গাড়ি চলাচল করলে এমনিতেই হলের কক্ষগুলো কেঁপে উঠে। গাড়ি ঐ সময়টাতে চলাচল করার কারণে প্রথমে ভেবেছিলাম তেমন কিছু না। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঝাঁকুনির মাত্রা তীব্রতর হলে আমরা রুম থেকে বেরিয়ে আসি৷
এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার এসএম শহিদুল হাসান জানান, যে ফাটলগুলো দেখা দিয়েছে দিয়েছে সেগুলো এক ভবনের সাথে আরেক ভবনের সংযোগস্থলে। কিন্তু কোনো বিম বা রড ঢালাই যেখানে দেওয়া হয়েছে সেখানে হয়নি। ফলে এখানে ভয়ের কিছুই নেই। এটি সহনীয় মাত্রায়। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।
বড় গাড়ির ঝাঁকুনির বিষয়ে তিনি বলেন, এটি স্বাভাবিক বিষয়। এটিও ভবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। যদি মূল কাঠামোতে কোন ফাটল ধরে তাহলে এটা অশনিসংকেত।
হল প্রভোস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। যোগাযোগের পর বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট সরেজমিনে ফাটলগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে কথা বলবেন বিষয়টি দেখার জন্য।