নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে এবার শিবির নেতা দাবি করে ছাত্রলীগের মানববন্ধন
- ববি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১০:২২ PM , আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০২:৩৬ PM
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বঙ্গবন্ধু হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা বিশ্লেষণে একটি কমিটি হলেও তারা এখনো তদন্ত শুরু করতে পারে নি। এদিকে আহত শিক্ষার্থীকে শিবির নেতা এবং পুরো ঘটনাকে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দাবি করে মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আহত দাবি করা শিক্ষার্থীর বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ হলের ৫ শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীর কেউই ঐ শিক্ষার্থীর বর্ণনানুযায়ী কোনো ঘটনা ঘটতে দেখে নি সেই রাতে। মূলত সে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সংগঠন ছাত্রশিবিরের নেতা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিতর্কিত করতে উক্ত পরিকল্পিত ঘটনার জন্ম দেয়া হয়েছে।
সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করে গণিত বিভাগের আবিদ হাসান, আইন বিভাগের মাহামুদুল হাসান তমাল, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার এবং বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টের কাছে আবেদন করা হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.খোরশেদ আলম বলেন, কোনো গোষ্ঠী বা মহল যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না করতে পারে সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে। নির্যাতনের ঘটনা বিশ্লেষণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বোঝা যাবে অভিযোগ সত্য নাকি মিথ্যা।
তবে ঘটনার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত এগোচ্ছে না বলে জানা গেছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির একজন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রিফাত ফেরদৌস। গতকাল বুধবার তিনি জানান, পারিবারিক একটি কাজে তিনি ছুটিতে আছেন। আগামী সপ্তাহে (রবিবার) তদন্ত সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি জানার চেষ্টা করবেন।
অন্যদিকে আহত শিক্ষার্থী মুকুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা হাসপাতাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাতে বঙ্গবন্ধু হলের একটি কক্ষে ইংরেজি বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই ঘটনার পিছনে একই বিভাগের ৮ম ব্যাচের তানজিদ মঞ্জু ও শিহাব উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে মুকুল। তানজিদ এবং শিহাব বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সংগঠক হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আহত শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে