জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
র্যাগিং, যৌন হয়রানি ও নকলের দায়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৬ PM , আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৭ PM
পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন (নকল), র্যাগিং, ও শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ নানা কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৬২তম সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল।
জানা যায়, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন করায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন, পদার্থবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান এবং রসায়নসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে নকল করায় কারও এক সেমিস্টার, কারও দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করার দায়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এই দুই শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও শৃঙ্খলা বোর্ডে সদস্য সচিব ড. মোস্তফা কামাল।
এদিকে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার দায়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুল ইসলাম আশিক নামে এক ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল তার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়ায় শৃঙ্খলা বোর্ডের কাছে এ শাস্তির সুপারিশ করে। এছাড়াও আশিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর খতিয়ে দেখতে— বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী সেলে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে নেই তামিম, বিসিবি থেকে নাফিস ইকবালকে অব্যাহতি
শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, দুই শিক্ষার্থীকে র্যাগিং এবং এক ছাত্রকে যৌন হয়রানির জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া বাকী শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই পরীক্ষায় নকলের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। কারও এক সেমিস্টার, কারও দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকের কাছে নকল পাওয়া গেছে; কিন্তু নকল করেনি এমন যারা আছে, তাদের কোর্স বাতিল করা হয়েছে।
প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কারও কাছে নকল পাওয়া গেলে আর সে যদি নকল না করে থাকে, তা হলে কোর্স পরীক্ষা বাতিল করা হয়। কেউ নকল করলে এক সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। আর যদি খাতা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থী বাধা দেয় তা হলে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া অপরাধের নানা ধরন দেখে বহিষ্কার করা হয়। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ছোট অপরাধ হলে শিক্ষার্থীদের দিকটি আমরা দেখি। আর অভিযোগ গুরুতরভাবে প্রমাণিত হলে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।