বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
অনার্স-মাস্টার্সে ‘ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট’, শিক্ষক নিয়োগে ডাক পেলেন না জোবেদা
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২৫ PM , আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫১ PM
স্নাতক-স্নাতকোত্তরে পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডাক পাননি জোবেদা আক্তার নামে এক নিয়োগ প্রত্যাশী। এ নিয়ে বিভাগটির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ওই শিক্ষার্থী।
ওই নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, তিনি প্রার্থী হওয়া সত্বেও তাকে না জানিয়ে শিক্ষক বোর্ড করা হয়েছে। অন্যান্য প্রার্থীদের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের জন্য অভহিত করা হলেও তাকে কোন কিছুই জানানো হয়নি। এ নিয়ে আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইতিহাস ও প্রত্নত্ত্ব বিভাগরে সামনে প্লে-কার্ড নিয়ে অবস্থান করেন তিনি।
জোবেদা অভিযোগ করে বলেন, আমি অনার্স এবং মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হই। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সব্বোর্চ সম্মান প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদকও পেয়েছি। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করি। তবে গত ৯ সেপ্টেম্বর নিয়োগ বোর্ড হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ২১ সেপ্টেম্বর নিয়োগ বোর্ডের নতুন সময় দেওয়া হলেও আমাকে জানানো হয়নি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো চিঠি এমনকি কোনো এসএমএসও পাইনি।কিন্তু অন্যান্য প্রার্থীদের চিঠি ও মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, আমার নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং উক্ত বিষয়গুলো আমার কাছে পূর্ব পরিকল্পিত ও সাজানো মনে হয়েছে। আমি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একই সাথে দুইবার ক্ষতিগ্রস্ত হলাম: প্রথমত- আমাকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া দ্বিতীয়ত একটি পদের বিপরীতে একাধিক নিয়োগ দেওয়ায় ভবিষ্যতের সম্ভবনা থেকেও বঞ্চিত করা হল।
এ বিষয়ে বেরোবি সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীদের ঠিকানায় গত আগস্ট মাসেই পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নিয়োগ পরীক্ষার দুই দিন আগে প্রার্থীদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস ও কল করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী প্রার্থীর দেওয়া নম্বরেও অন্যান্য প্রার্থীর মতোই একাধিকবার কল করা হয়েছে তিনি রিসিভ করেননি।
এর আগে জোবেদা আক্তার তাকে শিক্ষক নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরী অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, সকালে একটা অভিযোগ পত্র পেয়েছি। সিন্ডিকেটের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে এখন আমার কোন মন্তব্য নেই।