৭ মার্চের ভাষণ পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করার ডাক: সৌমিত্র শেখর

  © টিডিসি ফটো

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, ১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাৎক্ষণিক শব্দ চয়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেটি ছিল অসাধারণ। সাধারণ মানুষকে জাগাতে ভাষণে তিনি যে শব্দমালা প্রয়োগ করেছিলেন এজন্য এটি অসাধারণ। এই মহান ভাষণের মধ্যদিয়ে তিনি বাঙালিকে হাজার বছরের বঞ্চনা, অপমান ও পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে ছিন্ন করতে ডাক দিয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা ইতিহাসের যেসব নায়ক ও রাষ্ট্রনায়কদের কথা জানি তারা যে ভাষণ দিয়েছিল তা কোন জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ছিল না। সেসময় তারা হাজার বছরের শৃঙ্খল ভেঙ্গে কোন একটা জাতিকে পরাধীনতার বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তির সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান দেননি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালি যেন হঠাৎ করে তার হাজার বছরের জড়তা, দৈন্য, গ্লানি এগুলো সবদিক অতিক্রম করে মহাচেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আজন্ম সাধনা স্বাধীনতাকে পাওয়ার জন্য সর্বাগ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাত্ত দীক্ষা পায়।

আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও চাকরিতে এখনও পিছিয়ে নারীরা

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ: গণমানুষের অনন্য চেতনার উদ্ভাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং সঞ্চালনা করেন ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক রাগীব রহমান।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে ঐতিহাসিক সাত মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। এরপর সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।


সর্বশেষ সংবাদ